বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

বেপরোয়া জাল নোট তৈরি চক্র

বেপরোয়া জাল নোট তৈরি চক্র

ঈদ সামনে রেখে রংপুরে তৎপর জাল টাকা তৈরির জালিয়াতি চক্র। ইতিমধ্যে চক্রটি তাদের তৈরি ২০ লাখেরও বেশি জাল টাকা ঈদ বাজারে ছেড়েছে। গত সোমবার মিঠাপুকুর উপজেলা থেকে সোয়া লাখ টাকার জাল নোট ও তৈরির সরঞ্জামাদিসহ আটক জালিয়াতি চক্রের দুই সদস্য পুলিশকে এই তথ্য দিয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে এক শ্রেণির ব্যাংক কর্মচারী জড়িত বলেও আটককৃতরা স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মিঠাপুকুর থানা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে উপজেলার শুকুরেরহাটের গেনারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০০০ ও ৫০০ টাকা মূল্যমানের ১ লাখ ২৪ হাজার টাকার জাল নোটসহ জালিয়াত চক্রের সদস্য আবদুল বারেক ও তৌহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়। এ সময় তৌহিদুলের বাড়ি থেকে কম্পিউটার, স্ক্যানার মেশিন এবং রংসহ টাকা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ। আটক জালিয়াতরা টাকা তৈরির পর তা বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মচারী ও প্রতারক চক্রের কাছে ২০ হাজার টাকায় ১ লাখ জাল টাকা বিক্রি করে বলে সূত্র জানায়।

মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর জানান, একটি চক্র ঈদের সময় জাল টাকা তৈরি করে বাজারে ছাড়ে। ঈদ উপলক্ষে বেচাকেনা বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা জাল নোট তৈরি করে তা সিন্ডিকেট সদস্যদের মাধ্যমে বাজারে চালায়। ইতিমধ্যে ২০ লাখেরও বেশি টাকা বাজারে ছেড়েছে বলে আটক জালিয়াতরা স্বীকার করেছে। এর আগেও তারা একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছিল।

জানতে চাইলে জাল নোট প্রচলন প্রতিরোধ সংক্রান্ত সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ ব্যাংক রংপুর শাখার মহাব্যবস্থাপক খুরশীদ আলম জানান, ২০০৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত রংপুর বিভাগের আট জেলায় জাল নোট সংক্রান্ত মামলা হয়েছে ৩৪২টি। একই সময়ে ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের পাঁচ কোটি টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার করা হয় ৩৫০ জনকে। মামলাগুলো বিচারাধীন থাকলেও আসামিরা আইনের ফাঁক গলিয়ে মুক্তি পেয়ে আবারও জাল টাকা তৈরিতে জড়িয়ে পড়ে।

পুলিশ সুপার আবদুর রাজ্জাক বলেন, জাল টাকা প্রতারক চক্রকে ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। তীক্ষ্ন দৃষ্টি রাখছে গোয়েন্দা সদস্যরাও। ফলে এবার ঈদে প্রতারকরা খুব একটা ফায়দা করতে পারবে না।

 

সর্বশেষ খবর