বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

চীন জাপান ভারতের জন্য ২৩টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে : তোফায়েল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে চীন, জাপান ও ভারতের জন্য ২৩টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হবে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবকাঠামোগত সব ধরনের সুবিধা দেবে সরকার। কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিদেশি বিনিয়োগের কাক্সিক্ষত দেশ। গতকাল রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ‘পাবলিকেশন সেরিমনি অব টুওয়ার্ড নিউ সোর্সেস অব কমপিটেটিভনেস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিল বিশ্বব্যাংক গ্রুপ।

  তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য অগ্রগতির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছেন। এর মধ্যে ২৩টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন স্থাপনের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই ইকোনমিক জোনের মধ্যে চীন, জাপান ও ভারতকে খাতভিত্তিক অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আইন ও নীতিমালা সবচেয়ে সহজ। ট্যারিফ, নন-ট্যারিফে আমাদের দেশে কোনো বাধা নেই। মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টে উঠে এসেছে, বাংলাদেশের রপ্তানি দ্বিগুণ বেড়েছে। যদি চীনের ২০ শতাংশ বাজার দখল করা যায়, তাহলে আমাদের পোশাক খাতের রপ্তানি দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। এতে ২০২০ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ।

 তিনি বলেন, যদি আমাদের সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়, তাহলে আমাদের বর্তমান জিডিপি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২০ সালের মধ্যে ৮ শতাংশে উন্নীত হবে। বর্তমানে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ৩২ বিলিয়ন ডলার, রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন ডলার, রেমিট্যান্স ১৬ বিলিয়ন ডলার। এভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রগতি চলতে থাকলে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের একটি দেশে পরিণত হবে। বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য জোরদার হলে প্রতি বছর বাংলাদেশে ২০ লাখ তরুণের কর্মসংস্থান হবে। এতে দেশে কোনো ধরনের বেকারত্ব থাকবে না।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে প্রধান দুটি লক্ষ্য ছিলÑমধ্যম আয় ও ডিজিটালাইজ বাংলাদেশ। আমরা এখন দুটি লক্ষ্যেরই কাছাকাছি। সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ এখন ডিজিটালাইজ আর মধ্যম আয়ের দেশ হতে খুব বেশি বাকি নেই। যারা বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাধা দিচ্ছে, তাদের কোনো চেষ্টাই সফল হবে না।

বাণিজ্য সচিব হেদায়েতুল­াহ আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অমিতাভ চক্রবর্তী, বিশ্বব্যাংকের লিড ইকোনমিস্ট সঞ্জয় কাঠুরিয়া, অর্থনীতিবিদ জাইদি সাত্তার, এফবিসিসিআইর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর