জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে প্রকাশ্যে ভর্তি বাণিজ্য ও সুনির্দিষ্ট অনিয়মের ঘটনা প্রকাশ পেলেও অদ্যাবদি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নাতনিকে মেয়ে সাজিয়ে ভর্তি, প্রশ্নপত্র ফাঁস, প্রকাশ্যে দর কষাকষি ও জালিয়াত চক্রের সদস্যের মুখোশ উন্মোচন নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন আলোড়ন সৃষ্টি করে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে দুটি ঘটনার নামমাত্র তদন্ত কমিটি গঠন করেই দায় সেরেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ছাড়া জালিয়াতি চক্রের সদস্যের মুখোশ উন্মোচন ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় রয়েছেন অভিভাবকমহল, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষার্থী ও সুশীল সমাজ। এদিকে গত ২৫ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ভর্তি পরীক্ষা আজ শেষ হচ্ছে। এ বছরের ভর্তি পরীক্ষাতেও রয়েছে নানান অভিযোগ। জানা যায়, ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরিচালনা কমিটির নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগে নাতনিকে মেয়ে সাজিয়ে ভর্তি করানো হয়। অন্যদিকে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা ভর্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থীকে অবৈধভাবে ভর্তি করাতে দুই লাখ টাকার চুক্তি করেন রসায়ন বিভাগের কর্মচারী মো. শহীদুল ইসলাম। গোপনে ধারণকৃত কথোপকথনের ভিডিও চিত্রে এ তথ্য পাওয়া যায়।