বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে ওরা

তাজিয়া মিছিল প্রস্তুতিতে বোমা

আলী আজম

যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে ওরা

পেটে স্পি­ন্টার নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ২০৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাতরাচ্ছে ১১ বছর বয়সী সোহান। পেটে ব্যান্ডেজ মোড়ানো। ইতিমধ্যে সোহানের পেটে অপারেশন করা হয়েছে। এখনো ইনফেকশন রয়ে গেছে। গত ১২ দিন ধরে সে হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে। হাঁটতে পারছে না। সোহানের মতো জনি ও রিনা যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। তারাও হাসপাতালের বেডে শুয়ে দিন কাটাচ্ছে। হাঁটতে পারছে না। ব্যথার যন্ত্রণায় ঘুমাতে পারছে না। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনজনই আশঙ্কামুক্ত। তাদের সুস্থ হতে সময় লাগবে। শুধু এই তিনজনই নয়, এদের মতোই আরও চারজন ঢামেক হাসপাতালে অসহ্য যন্ত্রণায় দিনযাপন করছেন। গত ২৩ অক্টোবর রাতে পুরান ঢাকার হোসনি দালানে বোমা হামলার ঘটনায় তারা আহত হন। এ ঘটনায় কিশোর সাজ্জাদুল সানজু ও বৃদ্ধ জামাল উদ্দিন নিহতসহ শতাধিক আহত হন। সোহানের সেবা-যতেœ ব্যস্ত মা পারভিন আক্তার জানান, সোহানের বাবা দিনমজুর সেলিম। তাদের দুই সন্তান সোহান ও শিলাকে নিয়ে পুরান ঢাকার বেচারাম দেউরির ১৫/৫ নম্বর বাড়িতে থাকেন। দুর্ঘটনার পর থেকে সোহান বিছানা থেকে উঠতে পারছে না। তাকে তরল জাতীয় খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। সোহান স্থানীয় মাহুতটুলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ছে। সামনে তার পরীক্ষা। এবার মনে হয় সে পরীক্ষা দিতে পারবে না। ঘটনার পর গতকাল পর্যন্ত ১০ হাজার টাকা অনুদান পেয়েছেন। চিকিৎসকরা তার ছেলেকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে চেষ্টা করছেন। সোহানের পেটে ব্যান্ডেজ মোড়ানো। তেমন কথা বলতে পারছে না। খুবই আস্তে আস্তে কথা বলার চেষ্টা করছে। সোহান জানায়, কিছু দিন পরই আমার পিএসসি পরীক্ষা। কবে ছাড়া পাব। পরীক্ষার পড়া পড়তে হবে। এ সময় পাশে থাকা মা পারভীন আক্তার আঁচলে চোখ মুছছিলেন। ঢামেক হাসপাতালের ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন জনি। দুই পা-সহ বাম হাতে ব্যান্ডেজ দিয়ে মোড়ানো। ঘটনার পর থেকে গতকাল পর্যন্ত দুটি অপারেশন হয়েছে। তিনি বিছানায় শুয়ে থাকেন। হাঁটতে পারেন না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর