সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

ভুয়া সমিতির নামে সাতশ বিঘা জমি জবরদখল

নেপথ্যে সাবেক ছাত্রদল নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পশ্চিম ভাটোপাড়া এলাকায় নদীতে বিলীন হওয়ার পর জেগে ওঠা প্রায় ৭০০ বিঘা জমি দখলে রেখেছেন বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এক প্রকৌশলী। উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি তোজাম্মেল হকের ছেলে সাবেক ছাত্রদল নেতা প্রকৌশলী রাহাত পারভেজ তরু কৃষক সমিতির নামে এ জমি দখল করেছেন। জমির আগের মালিকদের জমির কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না। জমি দখলের মাধ্যমে উত্পাদিত ফসল বিক্রি এবং মহিষ খামারিদের কাছে জমি ইজারা দিয়ে বছরে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন জমি বঞ্চিত ভুক্তভোগী ও এলাকার সাধারণ কৃষক। জানা গেছে, পশ্চিম ভাটোপাড়া এলাকায় সত্তরের দশকে ভাটোপাড়া ও চরবয়ারমারি মৌজার প্রায় ৭০০ বিঘা জমি পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এসব জমির মালিক ছিলেন হরিশঙ্করপুর এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল বারী, তার ভাই মৃত আবদুর রাজ্জাক, মৃত কাজিমুদ্দিন সরকারসহ তার পাঁচ ভাই, মৃত গফুর ডাক্তারসহ তার নিকটাত্মীয়, পিরিজপুর এলাকার মৃত জকিমুদ্দিন সরকারসহ তার কয়েক ভাই। ২০০৫ সালের দিকে এসব জমি জেগে উঠলে জমির অংশীদাররা চাষাবাদ শুরু করেন। সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল বারীর ছেলে মাটিকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, ‘২০১২ সাল পর্যন্ত জমির প্রকৃত মালিকরা চাষাবাদ করেন। এরপর ২০১৩ সালে বিএনপি নেতা তোজাম্মেল এবং তার ছেলে প্রকৌশলী সাবেক ছাত্রদল নেতা তরুর নেতৃত্বে ‘পশ্চিম ভাটোপাড়া কৃষক সমিতি’ নামে একটি ভুয়া সংগঠনের মাধ্যমে জমিগুলো দখল করা হয়। আমরা জমিতে বেশ কয়েকবার চাষাবাদের জন্য যাই। কিন্তু তোজাম্মেল ও তরুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী লাঠিয়াল বাহিনী আমাদের জমির কাছে যেতে দেয়নি।’

স্থানীয়রা জানান, ওই ৭০০ বিঘা দখল করা জমিতে কলাই, মসুর ও খেসারিসহ রবিশস্যের চাষাবাদ হয়। এ ছাড়া আছে কাশবন। জমিগুলোর কিছু অংশ ইজারা দেওয়া হয় নাটোরের লালপুর এলাকার মহিষ খামারিদের। গত বছর ইজারা বাবদ আয় হয়েছে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। চলতি বছর এখনো ইজারা দেওয়া হয়নি। ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে সমিতির সদস্যরা জানান।

এ ব্যাপারে প্রকৌশলী রাহাত পারভেজ তরু বলেন, জমি দখল এবং ফসলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মিথ্যা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর