সোমবার, ২১ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

পণ্যবাহী কনটেইনারে চুরি ঠেকাতে ইলেকট্রনিক লক চান ব্যবসায়ীরা

চার বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি এই উদ্যোগ

রুহুল আমিন রাসেল

আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের পণ্যবাহী কনটেইনারে ইলেকট্রনিক সিল ও লক ব্যবস্থা না থাকায় পণ্য ছিনতাই, চুরি এবং চোরাচালান ঠেকানো যাচ্ছে না। ফলে বিদেশে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে অবিশ্বাস সৃষ্টি হচ্ছে। এ সংকট উত্তরণে পণ্যবাহী কনটেইনারের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে দ্রুত ইলেকট্রনিক সিল ও লক ব্যবস্থা চান ব্যবসায়ীরা। তবে অজানা সিন্ডিকেটের চাপে চার বছরেও ইলেকট্রনিক সিল ও লক ব্যবস্থা চালু হয়নি বলে জানা গেছে।

তথ্য মতে, ইলেকট্রনিক সিল ও লক ব্যবহারের ফলে ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যবাহী কনটেইনার/ কাভার্ড ট্রাকের সর্বশেষ অবস্থা ও অবস্থান জানা যাবে। এর সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে— বাইপাসিং, পণ্য চুরি, ডাম্পিং, চোরাচালান প্রভৃতি কর্মকাণ্ড। পণ্যবাহী কনটেইনারের যাতায়াত গোচরীভূতসহ এর নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সতর্কতা সংকেত মোবাইল ও ই-মেইলে পাবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সরকারের রাজস্ব আদায়কারী প্রতিষ্ঠান জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর ৪ বছর আগে ইলেকট্রনিক সিল ও লক ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নেয়। বর্তমানে কনটেইনার ছিনতাই, কনটেইনার কেটে পণ্য নিয়ে যাওয়ার মতো দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ইলেকট্রনিক সিল ও লক ব্যবস্থা ইতিবাচক বলে মনে করছে দেশের ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন-এফবিসিসিআই। এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, প্রায় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের কনটেইনারে পণ্য চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। এ থেকে উত্তরণে যুগান্তকারী ফল পাওয়া যাবে ইলেকট্রনিক সিল ও লক ব্যবস্থায়। সব ব্যবসায়ী এই লক সুবিধা চায়। কিন্তু কেন ৪ বছরেও ইলেকট্রনিক সিল ও লক ব্যবস্থা চালু হয়নি তা বোধগম্য নয়। তবে এনবিআরের উচিত হবে একাধিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এটি চালু করা। কোনো একক প্রতিষ্ঠানকে যেন দেওয়া না হয়। দিলেও এর ফি যেন ২০০ টাকার বেশি না হয়।

সূত্র মতে, আমদানি করা অসংখ্য  পণ্যচালান দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত পরও তা খালাস বা শুল্কায়ন হয় না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর