বুধবার, ১৩ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

তবুও অর্জিত হয়নি চসিকের কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

তবুও অর্জিত হয়নি চসিকের কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) কর আদায়ে নানামুখী উদ্যোগ ও তত্পরতা গ্রহণ করেছিল। এর পরও গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। গত অর্থবছর চসিকের আটটি রাজস্ব সার্কেল মাত্র ৩৩ দশমিক ২৯ শতাংশ রাজস্ব আদায় করতে পারে। আয়ের প্রধান খাত এই রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ায় নাগরিক সেবা ও উন্নয়নকাজ বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে চসিক বলছে, রাজস্ব আদায়ে গতি আনতে নানা উদ্যোগ-পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু নগরবাসী এ ব্যাপারে আশানুরূপ সাড়া দেয়নি। তাই অতীতের মতো এবারও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত অর্থবছরে (২০১৫-১৬) চসিকের আটটি সার্কেলে সরকারি-বেসরকারি খাতে রাজস্ব আদায়ের মোট দাবি ছিল ৩৩৭ কোটি ১৮ লাখ ৯৩ হাজার ৫৫২ টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয় ১১২ কোটি ২৫ লাখ ৩০ হাজার ৪৩৫ টাকা ৫৭ পয়সা। পৌরকর, ট্রেড লাইসেন্স, ভূমি হস্তান্তর, সাইনবোর্ড, সনদ (মৃত্যু, জাতীয়তা, জন্ম) ও ভূমি খাত থেকে চসিক রাজস্ব আদায় করে। বর্তমানে নগরীতে এক লাখ ৫০ হাজার ৭৯২টি হোল্ডিংস আছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে হোল্ডিং নম্বর না নিয়ে নাগরিক সেবা ভোগ করছে এমন স্থাপনাও রয়েছে। হোল্ডিং চিহ্নিত না করায় প্রতি বছর বড় অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে চসিক। চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘কর আদায়ে এবারও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি তা ঠিক। কিন্তু এ বছর আমরা ব্যতিক্রমী কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। কর আদায়ে নানাভাবে হার্ডলাইনেও গিয়েছিলাম। নবগঠিত ট্যাক্স টিম ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে কর আদায় করেছে। আমাদের উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে তা বলা যাবে না। তবে আশানুরূপ সাড়া মেলেনি। আসলে এ ব্যাপারে জনগণকেই সচেতনভাবে এগিয়ে আসতে হবে। নয় তো মাল ক্রোক করা, হার্ডলাইনে যাওয়া কিংবা শাস্তি দিয়ে কর আদায় করা যাবে না।’

জানা যায়, গত অর্থবছর রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে ‘হার্ডলাইনে’ যায় চসিক। গত বছর ২২ মার্চ স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৩১ মার্চের মধ্যে অনাদায়ী আবাসিক ও বাণিজ্যিক কর আদায়ের জন্য বলা হয়। তখন দুই সপ্তাহ ধরে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। ৩১ মার্চ ডেটলাইন শেষ হয়ে গেলে সর্বশেষ ‘সতর্কবার্তা’ হিসেবে ‘পৌরকর খেলাপি হিসেবে পত্রিকায় আপনার নাম প্রকাশ হওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করুন’ শীর্ষক চিঠি ইস্যু করা হয়। এতে বলা হয়, ‘‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রাপ্য পৌরকর পরিশোধে যদি আপনি পুনরায় ব্যর্থ হন, তাহলে আপনার নাম ও হোল্ডিংয়ের ঠিকানাসহ ফলাও করে পত্রিকায় ‘পৌরকর খেলাপি’ হিসেবে প্রকাশ করা হবে। এবং আপনার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকপূর্বক চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রাপ্য পৌরকর আদায়ে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর