শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

মুক্তবাণিজ্যে যাচ্ছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা

কলম্বোয় জেটিসি বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা একে অপরের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কলম্বোয় দুই দেশের জয়েন্ট ট্রেড কমিশনের (জেটিসি) বৈঠকের শেষ দিন বুধবার এ সিদ্ধান্ত হয়। ওই দিন রাতে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ হোটেল সিন্ডমোন লেকসাইডে সভা শেষে কার্যবিবরণী স্বাক্ষরের পর এ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। এফটিএ কার্যকর হলে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সব বাধা দূর হবে। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, ওষুধ, সিমেন্ট, পেপারসহ বিভিন্ন পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধায় শ্রীলঙ্কায় রপ্তানি করতে পারবে। গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শ্রীলঙ্কায় সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বাংলাদেশের পক্ষে এবং শ্রীলঙ্কার শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী রিশাদ বাথিউদিন সভার সিদ্ধান্তের কার্যবিবরণীতে স্বাক্ষর করেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, এফটিএ স্বাক্ষরের পর দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যে নতুন যুগের সূচনা হবে। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যে বাণিজ্য আশানুরূপ নয়। বিপুল সম্ভাবনা থাকার পরও বিভিন্ন জটিলতার কারণে বাণিজ্য বৃদ্ধি পায়নি।

গবেষকদের মতে, রপ্তানি সম্প্রসারণে ভারতের পর শ্রীলঙ্কা সম্ভাবনাময় বাজার হওয়া সত্ত্বেও দুই দেশের বাণিজ্য উল্লেখ করার মতো নয়। তবে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সহযোগিতার সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে বাণিজ্য দ্বিগুণ করা সম্ভব বলে মনে করছেন গবেষকরা। ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড কনফ্লিকট স্টাডিজের প্রতিবেদন অনুসারে এলটিটিই (লিবারেশন টাইগার্স অব তামিল ইলম) মুক্ত হওয়ার পর শ্রীলঙ্কা যে অর্থনৈতিক সংস্কার হাতে নিয়েছে তার সুফল মিলছে কয়েক বছরে। এর ফলে দেশটি আর্থিক স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে। অন্যদিকে রপ্তানি সম্প্রসারণে বাংলাদেশও দ্রুত অগ্রসরমান দেশগুলোর একটি। ২০১০ সালে দুই দেশের মোট বাণিজ্য (আমদানি-রপ্তানি) ছিল ৪৮ মিলিয়ন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সেটি বেড়ে ৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। এ ছাড়া ৪৫টি শ্রীলঙ্কান কোম্পানি জয়েন্ট ভেঞ্চারে বাংলাদেশে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।

সর্বশেষ খবর