শনিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

শীতের আগমনে রাজধানীতে বাড়ছে মশার দাপট

কার্যকর উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্টদের

মোস্তফা কাজল

শীতের আগমনে রাজধানীতে বাড়ছে মশার দাপট। ভুক্তভোগী ঢাকার দুই সিটিবাসী বলছেন, প্রজননস্থলগুলো পরিষ্কার না হওয়া এবং ওষুধ ছিটানোর ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা না থাকায় শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে মশার উপদ্রব বাড়তে শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে শীত বেড়ে গেলে মশার উপদ্রব আরও তীব্র রূপ নিতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা। অনেকের অভিযোগ, বাজেটে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও মশার ওষুধ শুধু রাজধানীর অভিজাত ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ছিটানো হয়। পছন্দের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সিটি করপোরেশন কর্মকর্তাদের এলাকা এ ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পায়। অন্য এলাকা থাকে অবহেলিত।

এ কারণে পুরান ঢাকার লালবাগ, হাজারীবাগ, সূত্রাপুর, সদরঘাট, গেন্ডারিয়া, দয়াগঞ্জ, মীরহাজিরবাগ, দোলাইরপাড়, যাত্রাবাড়ী, জুরাইন প্রভৃতি এলাকায় একমাস ধরে মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। দয়াগঞ্জের বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, ‘এলাকার নালা, নর্দমা, ডোবাগুলো পরিষ্কার না হওয়ায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। এর মধ্যে কয়েকজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।’ একই অবস্থা মিরপুর, পল্লবী, দারুসসালাম, কাফরুল, ভাসানটেক, মহাখালী, বাড্ডা, রামপুরা, বনশ্রীসহ বেশকিছু এলাকার। গতকাল মীরহাজিরবাগের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘মধ্যপাড়ায় গত দুই মাসে মশার ওষুধ ছিটাতে দেখিনি।’ আবুল হোসেন নামে পল্লবীর এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমার বাড়ির কাছে রূপনগর খাল নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। এ কারণে মশার উৎপাত দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। বিষয়টি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জোনাল অফিসের কর্মকর্তাকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেননি।’

জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা মশা নির্মূলে নিয়মিত ওষুধ ছিটানো ও নর্দমা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করছি। এ ছাড়া কিছু এলাকায় ক্র্যাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ ঢাকা দক্ষিণের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শেখ সালাহউদ্দিন বলেন, ‘মশক নিধন কর্মীরা নিয়মিত কাজ করছেন। কোথায় কোথায় ওষুধ ছিটাতে হবে তা দেখভাল করেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলররা। কোনো এলাকায় যদি ওষুধ ছিটানো না হয় তাহলে কাউন্সিলরদের জানালে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।’

সর্বশেষ খবর