সোমবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

জানুয়ারিতে সরছে কারওয়ান বাজার

বিলম্বিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে তারা

মোস্তফা কাজল

নতুন বছরের শুরুতে মহাখালী, গাবতলী ও যাত্রাবাড়ীতে সরছে রাজধানীর বহুল আলোচিত কারওয়ান বাজার। প্রতিষ্ঠার ৪৪ বছর পর এই বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই বাজার তিন স্থানে স্থানান্তরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। বর্তমানে কারওয়ান বাজারে প্রায় আট শতাধিক দোকান রয়েছে। কিন্তু একটি মহল স্থানান্তরের এই প্রক্রিয়া বিলম্বিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। পাশাপাশি যোগ হয়েছে ব্যবসায়ীদের নানা শর্ত। শর্ত পূরণে কাজ চলছে জানিয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিগগিরই এর সমাধান হয়ে যাবে। জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে স্থানান্তর কার্যক্রম শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।

ডিএনসিসির অঞ্চল-৫-এর কর্মকর্তা এস এম অজিয়র রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বাজার সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমিতিগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। স্থানান্তরের বিষয়ে তারা ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। অন্যত্র সরে যেতে তাদের আপত্তি নেই। তবে সুযোগ-সুবিধা সংক্রান্ত কিছু দাবি তাদের রয়েছে। এসব দাবি পূরণের চেষ্টা করছে ডিএনসিসি। স্থানান্তরে কাজ জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হতে পারে। গাবতলীর বেড়িবাঁধ সড়কে বাজারের জন্য একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। নতুন এ ভবনে প্রায় ৪০০ ব্যবসায়ীকে স্থান দেওয়া যাবে। মহাখালীতে শতাধিক এবং যাত্রাবাড়ীতে ৩০০ দোকানের সংকুলান করা যাবে। ডিএনসিসি জানায়, প্রথম পর্যায়ে বাজার ছাড়তে ব্যবসায়ী মহল নারাজ ছিল। তবে পরবর্তী সময়ে শর্ত সাপেক্ষে ডিএনসিসির প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রস্তাবিত তিন মার্কেটে দু’ধরনের স্পেস (২শ’ ও ৪শ’ বর্গফুট) রাখা হয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের দাবি, প্রত্যেক দোকান ও আড়তের জন্য ৪শ’ বর্গফুট করে জায়গা বরাদ্দ দিতে হবে। পাশাপাশি মার্কেটগুলোতে যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত করতে উপযুক্ত সড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়নেরও দাবি তাদের।

কারওয়ানবাজার কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী আবদুল মান্নান বলেন, সরে যেতে আমাদের আপত্তি নেই। তবে কিছু দাবি পূরণ করতে হবে। নইলে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হব। ডিএনসিসির একাধিক কর্মকর্তা জানান, ব্যবসায়ীরা আসলে কারওয়ানবাজার ছাড়তে চান না। মূলত সে কারণেই এসব শর্ত দিয়েছেন তারা। এসব শর্ত দিয়ে তারা আসলে কালক্ষেপণ করছেন। তবে করপোরেশন এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এ কারণে ব্যবসায়ীদের দাবি পূরণের চেষ্টা চলছে। স্থানান্তর কার্যক্রমের জন্য ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে ডিএনসিসি।

ডিএনসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মমতাজউদ্দিন বলেন, কারওয়ান বাজার স্থানান্তর নিয়ে কোনো সংশয় নেই। আমরা তিন জায়গায় দোকান বরাদ্দে ব্যবসায়ীদের অগ্রাধিকার দেব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর