বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

ক্ষুধা ও দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দিতে ৩ হাজার কোটি টাকার তহবিল

সংসদে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা হবে। এ জন্য দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী তিন কোটি মানুষকে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প ক্ষুদ্র সঞ্চয় মডেলের আওতাভুক্ত করার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এক কোটি ২০ লাখ মানুষের জন্য ৩ হাজার ১৪৬ কোটি টাকার তহবিল গড়ে দেওয়া হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে গতকাল টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সুকুমার রঞ্জন ঘোষের (মুন্সীগঞ্জ-১) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য দেন। মন্ত্রী জানান, দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে মোট ৪০ হাজার ২১৩টি গ্রামে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রতিটি গ্রামে ৬০টি দরিদ্র পরিবার নিয়ে একটি গ্রাম সংগঠন গড়ে তোলা হয়েছে, যার মধ্যে ৪০ জনই নারী। দরিদ্র মানুষ সপ্তাহে ৫০ টাকা করে মাসে ২০০ টাকা সঞ্চয় করলে সরকার তাকে ২০০ টাকা বোনাস দিচ্ছে। এ ছাড়া গ্রাম সংগঠনকে বছরে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঘূর্ণায়মান তহবিল প্রদান করা হয়। এভাবে সরকার দুই বছরে একটি গ্রাম সংগঠনকে ৯ লাখ টাকার স্থায়ী তহবিল গড়ে দিচ্ছে। এভাবে এ পর্যন্ত ৪০ হাজার ২১৩টি সমিতির ২২ লাখ পরিবার তথা ১ কোটি ২০ লাখ মানুষের ৩ হাজার ১৪৬ কোটি টাকার তহবিল গড়ে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী জানান, এ অর্থের মালিক দরিদ্র জনগোষ্ঠী। সরকার কখনো এ অর্থ ফেরত নেবে না। এস এম মোস্তফা রশিদীর (খুলনা-৪) অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দরিদ্র, ছিন্নমূল ও ভিক্ষুক পরিবারগুলোকে এ প্রকল্পের আওতায় এনে ক্ষুদ্র সঞ্চয় মডেলে দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে প্রকল্পের কর্মপরিসর বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ জন্য গত বছর ২৫ অক্টোবর একনেকের সভায় ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশব্যাপী প্রকল্প কাজ সম্প্রসারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রকল্পটি ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে হতদরিদ্র মানুষের ঋণের জন্য এনজিওগুলোর কাছ থেকে উচ্চ সুদে আর ঋণ নিতে হবে না।

একটি বাড়ি একটি খামার : এ কে এম শাহজাহান কামালের   (লক্ষ্মীপুর-৩ আসন) এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের আওতায় দেশের সব জেলার সব উপজেলা ও ইউনিয়নে মোট ৬০ লাখ পরিবার তথা ৩ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান এবং দারিদ্র্য বিমোচনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

সর্বশেষ খবর