শিরোনাম
সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক কারখানা সরাতে অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুরান ঢাকাকে বসবাসযোগ্য করতে অবৈধ রাসায়নিক কারখানা ও গোডাউন অপসারণের অভিযান শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে রাসায়নিক কারখানা ও গোডাউনের কারণে মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছিল বাসিন্দারা। গত মাসে অন্তত ৪০০টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করেছে ফায়ার সার্ভিস। সে অনুযায়ী গতকাল সকাল থেকে লালবাগের শহীদনগর এলাকায় মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের উপস্থিতিতে অবৈধ রাসায়নিক কারখানা এবং গোডাউন অপসারণে অভিযান শুরু করা হয়। এতে ফায়ার সার্ভিস, বিস্ফোরক অধিদফতর, পরিবেশ অধিদফতর ও জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিল। অভিযান শুরুর আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, পুরান ঢাকায় অনেক রাসায়নিক কারখানা ও গোডাউন আছে। যেগুলোর অগ্নিকাণ্ডে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সেসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি আমরা চাই না। তাই এসব রাসায়নিক কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হবে। জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে এমন কোনো কারখানা পুরান ঢাকায় থাকতে দেব না। এখান থেকে সব সরিয়ে দেব। যতদিন পর্যন্ত এসব কারখানা সরানো হবে না এবং পরিস্থিতির উন্নতি হবে না- ততদিন অভিযান অব্যাহত থাকবে। তবে রাসায়নিক কারখানা স্থাপনের জন্য মালিকদের নির্দিষ্ট কোনো জায়গা দেওয়া হবে কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, এটা কারখানা মালিকদের একান্ত ব্যাপার। তারা তাদের কারখানা কোথায় রাখবে এবং কোথায় চালাবে সেটা তাদের ব্যাপার। এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের কিছু করার নেই।

মেয়রের নির্দেশে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে লালবাগের শহীদ নগরের ১ নম্বর গলির ইউনিক পলিমারের একটি কারখানায় অভিযান শুরু করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। কারখানার মালিক আবদুল করিম সেন্টু অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যান। এ সময় কোবাদ আলী নামে এক শ্রমিককে আটক করা হয়। পরে ওই কারখানাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে কারখানার শ্রমিক কোবাদ আলীকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর আরও দুটি কারখানাকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা কবির বলেন, ওই কারখানায় অগ্নিপ্রতিরোধের কোনো ব্যবস্থা নেই। আবার প্লাস্টিকের লাইসেন্স নিয়ে তরল কেমিকেল মজুদ করে রাখা হয়েছে। 

সর্বশেষ খবর