মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে সড়কের বেহালদশা বৃষ্টি হলেই দুর্ভোগ কুমিল্লায়

এসব দেখার কেউ নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার থেকে বহদ্দার হাট সড়ক। সড়কের দুই নম্বর গেট অংশে আছে বড় বড় গর্ত, গর্তে জমে থাকে পানি। এসব গর্তে যানবাহন পড়ে নষ্ট হয় যন্ত্রাংশ। একই সড়কের জিইসি মোড়েও আছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। গর্তের কারণে যান চলছে অত্যন্ত ধীর গতিতে। বাড়ছে যানজট। সরেজমিনে নগরীর প্রধান এই সড়কের এমন ত্রাহি অবস্থা দেখা যায়। জিইসি মোড়ে রাউডার চালক কামাল উদ্দিন বলেন, হাজার কোটি টাকা দিয়ে নির্মিত ফ্লাইওভার এখন যান শূন্য। অথচ প্রচণ্ডতম ব্যস্ত এই সড়কটি সামান্য টাকা ব্যয়ে মেরামত করা সম্ভব। কেবল নগরের প্রধান এই হাইওয়ে সড়ক নয়, বাণিজ্যিক নগরের অধিকাংশ মূল সড়কেরই এমন বেহাল অবস্থা। ক্ষতবিক্ষত সড়কে নাভিশ্বাস নগরবাসীর। সড়কে যান চলছে চরম মন্থর গতিতে। নষ্ট হচ্ছে জ্বালানি ও কর্মঘণ্টা। বেহাল সড়কের কারণে জনজীবনও এখন বেহাল হয়ে উঠেছে। যাত্রীদের সহ্য করতে হচ্ছে নরক যন্ত্রণা। নগরবাসীর অভিযোগ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) বর্ষা মৌসুম শেষ হলে সড়ক সংস্কারের কাজ পুরোদমে করার কথা বলে আসছে। কিন্তু এক মাস ধরে মুষলধারে বৃষ্টি হয়নি, বৃষ্টি হয়েছে থেমে থেমে। ফলে এ সময়ে চসিক অনেক কাজ এগিয়ে নিতে পারত। চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, আরাকান সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের সংস্কার কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আশা করি এক মাস পর নগরের সবগুলো সড়ক মেরামত হয়ে যাবে। জানা যায়, বহদ্দার হাট থেকে কর্ণফুলী শাহ্ আমানত সংযোগ সড়কের অবস্থা এখন চরম বেহাল। সড়কের রাহাত্তার পুল, কালামিয়া বাজার ও রাজাখালি অংশে আছে বড় বড় গর্ত। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের এ অংশের বেশ কিছু স্থান সংস্কার করা হয়েছে ভাঙা ইট দিয়ে। মুরাদপুর-অক্সিজেন সড়কটি প্রায় ছয় মাস ধরেই অপরিবর্তিত। মাঝে মাঝে ভাঙা ইট দিয়ে সংস্কার করা হলেও আবার বড় গর্তে পরিণত হয়। এ সড়কের বিবিরহাট, হামজারবাগ, রৌফবাদ ও আতুরার ডিপো এলাকার সড়কের অবস্থা নাজুক।

এদিকে দুই দিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে কুমিল্লা সিটির নিচু এলাকা। বিশেষ করে অশোকতলা, রেসকোর্স, ডিসি সড়কের পানি চার দিনেও সরেনি। এ পানি সরতে আরও কয়েকদিন সময় লাগতে পারে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ওই এলাকার লাখো মানুষ। বিশেষ করে অশোকতলার বাসিন্দারা বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন। বাসার ভিতর হাঁটু সমান পানি, শৌচাগারেও পানি ঢুকেছে। ওই এলাকার সড়কে এখনো হাঁটু পানি। কিছু বাসার পানি মোটর পাম্প দিয়ে সরানো হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর