যশোরে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও হত্যা মামলার আসামি শিশির ঘোষ ও রাব্বি ইসলাম শুভ গতকাল গভীর রাতে জখম অবস্থায় পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ২৩ ডিসেম্বর যশোর শহরে লক্ষ্যভ্রষ্ট গুলিতে নিহত চা দোকানি টিপু সুলতান হত্যা মামলার আসামি এই দুই সন্ত্রাসী। ধরা পড়ার ব্যাপারে যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আজমল হুদা জানান, রাত তিনটার দিকে যশোর সদরের এড়েন্দায় দুই দল সন্ত্রাসীর মধ্যে সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এসময় সেখান থেকে জখম অবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ানশুটার গান, ম্যাগাজিনসহ একটি পিস্তল, একটি গুলি ও নয়টি বোমা উদ্ধার করা হয়। ওসি বলেন, আহত দুইজনকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর আহতদের পরিচয় জানা যায়। তারা হচ্ছে শহরের ষষ্টিতলা পাড়ার নিত্য ঘোষের ছেলে শিশির ঘোষ ও বেজপাড়ার ফুড গোডাউন এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে রাব্বি ইসলাম শুভ। তাদের টিপু হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ওসি আরও জানান, শিশিরের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ১৫টি ও শুভর বিরুদ্ধে হত্যাসহ ১০টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া গত ২৩ ডিসেম্বর শহরের টিবি ক্লিনিক মোড়ে এ দুইজনের লক্ষ্যভ্রস্ট গুলিতে নিহত হন চা দোকানি টিপু।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আবদুর রশিদ জানান, রাত ৩টা ৫৫ মিনিটের দিকে শিশির ও শুভকে হাসপাতালে আনে পুলিশ। শিশিরের বাঁ হাত, ডান পায়ের হাঁটু ও বাঁ পায়ের গোড়ালিতে এবং শুভর ডান হাত, বাঁ পায়ের গোড়ালি ও ডান পায়ে গভীর ক্ষত রয়েছে। তাদের ঢাকায় স্থানান্তরের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শিশিরের পিতা নিত্য ঘোষ ও শুভর চাচা খবির শিকদার দাবি করেছেন, মঙ্গলবার গভীর রাতে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার খাসিরহাট গ্রামের খলিলুর রহমানের বাড়ি থেকে যশোরের ডিবি পুলিশ তাদের আটক করে নিয়ে যায়। খলিলুর রহমান শুভর আত্মীয়।