শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
রিন ক্যারিয়ার রেডি একাডেমি

৫ লাখ তরুণের ক্যারিয়ার গড়তে প্রস্তুত

একটি দেশের জাতীয় অগ্রগতির পথে প্রধান বাধা বেকার সমস্যা। যতই দিন যাচ্ছে এদেশে বেকার সমস্যা ততই প্রকট হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বেকার সমস্যা বৃদ্ধির প্রধান কারণ। এ ছাড়াও আছে কর্মোপযোগী শিক্ষা এবং দক্ষ জনশক্তির সংকট। তাই জনসংখ্যার একটি বড় অংশ বেকার থাকছে দীর্ঘ সময়। তারা নিজের পছন্দমতো কাজ পাচ্ছেন না।

দেশে বেকারের সংখ্যা এখন ২৬ লাখ। নারী ও পুরুষ উভয়েই ১৩ লাখ করে বেকার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১৫-১৬ অর্থবছরের ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপে এ চিত্র উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ২০১২ সালের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রতিবছর নতুন করে ২২ লাখ কর্মক্ষম শিক্ষিত মানুষ শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। কিন্তু কাজ পায় মাত্র ৭ লাখ, বাকি ১৫ লাখ থাকে বেকার। এর মধ্যে উচ্চশিক্ষিত অর্থাৎ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে যারা শিক্ষাজীবন শেষ করেছেন তারাও রয়েছেন।

বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশে বেকারত্বের হার ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। এ হিসাবে ২ কোটি ২ লাখ লোক বেকার। এর ওপর এখন প্রতিবছর নতুন করে ১৩ লাখ মানুষ শ্রমবাজারে যোগ হচ্ছে। এদের বড় অংশই থাকছে বেকার।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) হিসাবে ২০১৫ সালে বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা প্রায় তিন কোটি। তাদের মতে, বেকারত্ব বাড়ছে এমন ২০টি দেশের তালিকার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম।

ইউএনডিপি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে এদেশে বেকারের সংখ্যা সাড়ে তিন কোটি। তার মধ্যে শিক্ষিত বেকার হচ্ছে ২ কোটি ২০ লাখ।

যুগটাই এখন এমন, ইংরেজি ছাড়া কোনো কিছু চিন্তাও করা যায় না। কি চাকরি, কি পড়াশোনা— সব জায়গায়ই ইংরেজিতে দক্ষতা এখন প্রাথমিক চাহিদা। দক্ষতা বিভিন্ন রকমের হতে পারে। তার মধ্যে ইংরেজিতে দক্ষতা এখন সবচেয়ে বেশি চাহিদাসম্পন্ন।

বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানিতে ভালো চাকরি পেতে হলে ভালো ইংরেজি জানা এবং বলতে পারার কোনো বিকল্প নেই। এমনও দেখা গেছে, সবরকম যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও শুধু ইংরেজিতে সাবলীলভাবে কথা না বলতে পারার জন্য অনেকেরই বহুজাতিক কোম্পানিতে চাকরি হয় না। ভালো ইংরেজি না জানার কারণে তাই দিন দিন শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে।

সময় এসেছে এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার, নিজের দক্ষতা বাড়ানোর। বিশেষ করে ইংরেজিতে দক্ষতা। আর ইংরেজিতে দক্ষ করে তুলতেই রিন নিয়ে এসেছে রিন ক্যারিয়ার রেডি একাডেমি। এটি একটি ওয়েব সাইটভিত্তিক ইংরেজি শিক্ষা কার্যক্রম যা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।

রিন ক্যারিয়ার রেডি একাডেমি মূলত বেসিক ইংরেজি শিক্ষা প্রদান করে। সিভি তৈরি, ইন্টারভিউ প্রস্তুতি, অফিস মেইল আদান-প্রদান, কর্মস্থলের পোশাক, যোগাযোগসহ নানা বিষয়ে ইংরেজি শিক্ষা প্রদান

করে রিন ক্যারিয়ার রেডি একাডেমি। কারণ, এই বিষয়গুলো চাকরি এবং ব্যবসা ক্ষেত্রে খুবই দরকারি। এর মাধ্যমে সফলভাবে কোর্স সম্পন্ন করলে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয় যা চাকরির ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গ্রহণযোগ্য।

সুজন মিয়া ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখান থেকেই তিনি এসএসসি এবং এইচএসসি শিক্ষা সম্পন্ন করেন। উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি ২০০৯ সালে ঢাকায় আসেন। কবি নজরুল সরকারি কলেজ থেকে তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি সাধারণ একটি পরিবারের সন্তান। তার এতদূর আসার বেশির ভাগটাই মূলত নিজের ইচ্ছাশক্তি এবং একজন স্যারের ভূমিকা। জীবনে ইংরেজি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা তিনি ওই স্যারের কাছ থেকেই জেনেছেন।

পড়ালেখা শেষ করে তিনি চাকরির জন্য আবেদন করতে থাকেন, বেশকিছু ইন্টারভিউ দেন কিন্তু ভালো একটি চাকরির সুযোগ তার হয় না। তিনি আবিষ্কার করেন, তার ভালো একটি চাকরি হচ্ছে না শুধু ইংরেজিতে দুর্বলতার কারণে। এটা আবিষ্কার করতেই তিনি ইংরেজির ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। টিভিতে বিভিন্ন ইংরেজি চ্যানেল দেখতে শুরু করেন। ইংরেজি পত্রিকা, ম্যাগাজিনসহ যাই পান পড়তে শুরু করেন। ইংরেজিতে দক্ষতা বাড়ানো যায় এমন সব ওয়েব সাইটভিত্তিক কোর্সের খোঁজ করতে থাকেন।

এক দিন তিনি দৈনিক পত্রিকায় রিন ক্যারিয়ার রেডি একাডেমির বিজ্ঞাপন দেখতে পান। দেখা মাত্রই ইংরেজি কোর্সের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেন এবং সফলভাবে কোর্সটি সম্পন্ন করে তিনি সার্টিফিকেট লাভ করেন। কোর্সটি সম্পন্ন করার পর ইংরেজিতে তার দক্ষতা বেড়ে যায়। তিনি আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন। তার বিশেষ একটি শখ পূরণ হওয়া শুরু হয়। তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের কালচার, লাইফস্টাইল সম্পর্কে জানতে শুরু করেন। বিদেশি সাহিত্য, সিনেমা উপভোগ করার ক্ষেত্রে তার আর কোনো বাধা থাকে না।

ইংরেজিতে জড়তা আর ভীতি থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য তিনি রিন ক্যারিয়ার রেডি একাডেমির প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং পরিচিতজনদের এই কোর্সটি করার জন্য উৎসাহ দিতে থাকেন। কারণ, তিনি বিনামূল্যে এত অসাধারণ আর সময়োপযোগী ইংরেজি কোর্স আর পাননি।

ইংরেজিতে দক্ষতা বাড়ার কারণে তিনি আশাবাদী হয়ে ওঠেন এবং ভালো একটি চাকরি পেয়ে যান। বর্তমানে সুজন মিয়া ঢাকার একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে আইটি এক্সিকিউটিভ হিসেবে কর্মরত আছেন। মেইল আদান-প্রদানের পাশাপাশি তিনি অফিসের অন্যান্য ডকুমেন্ট প্রসেস এবং ম্যানেজের দায়িত্ব পালন করছেন। আর ইংরেজির সাবলীলতায় সবাইকে মুগ্ধ করে চলেছেন।

রিন ক্যারিয়ার রেডি একাডেমির লক্ষ্য ইংরেজি কোর্স প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা এবং বেকার সমস্যা দূর করা। শিক্ষাজীবন শেষ করেও যে যুবসমাজ বেকারত্বে আক্রান্ত তাদের দক্ষ ও প্রস্তুত করতেই এসেছে রিন ক্যারিয়ার রেডি একাডেমি। রিন ক্যারিয়ার রেডি একাডেমির বিনামূল্যে এই ওয়েব সাইটভিত্তিক কোর্সটিতে খুব সহজেই রেজিস্ট্রেশন করা যায়। যে বা যারা এই কোর্সটি করতে চান তারা আজই www.rin.com.bd এই ঠিকানায় রেজিস্ট্রেশন করুন এবং সফলভাবে কোর্সটি সম্পন্ন করে সার্টিফিকেট অর্জন করুন।

 

সর্বশেষ খবর