শনিবার, ৬ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
বাজার দর

রাজধানীতে বেড়েছে মাছ মাংস মসলার দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে বেড়েছে মাছ মাংস মসলার দাম

রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে চাল, নতুন আলু ও কাঁচামরিচ ছাড়া প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। ফলে অস্বস্তি অবস্থা বিরাজ করছে বাজারে। চাল কেজিতে এক থেকে দুই টাকা, আলু প্রতি কেজিতে তিন টাকা ও কাঁচামরিচে ১০ টাকা কমেছে। তবে আরেক দফা বেড়েছে মাছ, মাংস ও মসলার দাম। গতকাল বনানী কাঁচাবাজার ঘুরে পাওয়া গেছে এসব তথ্য। নতুন চাল বাজারে উঠতেও শুরু করেছে। বাজারে যে চাল বিক্রি হচ্ছে, এসব চাল পুরনো। চাহিদা বেশি থাকায়, বিগত বছরগুলোর তুলনায় বর্তমানে বাড়তি দামেই চাল বিক্রি হচ্ছে বলে ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন। এ ছাড়া মোটা চাল নামে পরিচিত বিআর-২৮ গতকাল বিক্রি হয়েছে ৪৪ টাকায়, স্বর্ণা-৪২, পাইজাম ৫৫, মিনিকেট বিক্রি হয়েছে ৫২ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া নাজিরশাইল ৫৫, লতাশাইল ৬০ টাকায়, পোলাও চালের দাম কেজিতে ৫ টাকা কমে গতকাল বিক্রি হয়েছে ১০৫ টাকায়। এ বাজারের সবজির দোকানে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি করলা বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়।  বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। বরবটি ৭০ টাকায়, টমেটো ৪০ টাকায়,বাঁধাকপি ২০ টাকায়  (প্রতি পিস), ফুলকপি ২০ টাকায় (প্রতি পিস), ঝিঙ্গা ৫০ টাকায়, শিম ৩০ টাকায়,  পেঁপে ২৫ টাকায়, কচুরলতি ৫০ টাকায়, কচুরমুখি ৫০ টাকায়, গাজর ৩০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া (প্রতি পিস) ৪০ টাকায়, লাউ ৫০ (প্রতি পিস), পটোল ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  খেজুর গুড় বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে।

এ কাঁচাবাজারের মুদি দোকানের বিক্রেতা আলমগীর হোসেন  বলেন, সবজি ও মসুর ডালের দাম কিছুটা বেড়েছে। এ ছাড়া বাজারে রসুন, আদা ও মসলার দামও বেড়েছে। তবে পিয়াজ (দেশি) ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়। পিয়াজ (আমদানি করা ভারতীয়) ৫৫ টাকায়। আর রসুনের দাম ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজিতে। আদার দাম ১০ টাকা কমে ৯০ টাকায় বিক্রি হয়। এদিকে মাছের দামও কিছুটা বেড়েছে। গতকাল প্রতি কেজি ইলিশ মাছ ৯০০-১১০০ টাকায়, দেশি রুই ২৫০-৩০০ টাকায়, কোরাল মাছ প্রতি কেজি ৪৫০ টাকায় ও প্রতি কেজি চিংড়ি মাছ বিক্রি হয়েছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায়। বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাছের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কিছুটা বড়তি। গতকাল ছুটির দিনে সবজির বাজারে ক্রেতাদের-সবজি ও মাছের দামে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। তবে সিজনের কারণে মাংসের দামও বাড়তি। মাংস বিক্রেতারা বলছেন, বিয়ে এবং পিকনিকের কারণে মুরগি, গরু এবং খাসির মাংসের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। গতকাল এক কেজি খাসির মাংস বিক্রি হয়েছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৫০০ থেকে ৫২০ টাকায়। বয়লার মুরগির দাম কিছুটা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে  কেজি ১৫০ টাকায়। পাশাপাশি দেশি মুরগি বিক্রি হয়েছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি দরে।

এ বাজারে আসা ক্রেতা জসিম উদ্দিন বলেন, বছরের শুরুতে জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বৃদ্ধি পেতে থাকে সব ধরনের মাংসের দাম। বিক্রেতারা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে মাংসের দাম বৃদ্ধি করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন  ক্রেতারা। কিন্তু বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম থাকায় মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিষয়ে বনানী বাজারের মাংস ব্যবসায়ী রাশেদ মিয়া বলেন, চলতি মাসের শুরু থেকেই বিভিন্ন পিকনিক, বিয়ে, অফিসের অনুষ্ঠান  বেড়েছে। এ অজুহাতেও দাম বাড়ছে।

 

সর্বশেষ খবর