বুধবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

সিন্ডিকেট নয়, পিয়াজের দাম বেড়েছে বন্যায়

সংসদে তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

সিন্ডিকেট নয়, পিয়াজের দাম বেড়েছে বন্যায়

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, পিয়াজের উৎপাদন কম হওয়া বা আমদানি ও বিপণন ব্যবস্থার কোনো ত্রুটিতে এর দাম বাড়েনি কিংবা এর পেছনে কোনো সিন্ডিকেট কাজ করেনি। বাংলাদেশে পিয়াজ আমদানির মূল উৎস হচ্ছে ভারত। কিন্তু সেখানেও উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে অনাকাঙ্ক্ষিত বন্যার কারণে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ভারত প্রতি মেট্রিক টন পিয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানি মূল্য ৮৫০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে। ফলে স্থানীয় বাজারে পিয়াজের দাম অস্বাভাবিকহারে বেড়ে যায়। জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে গতকাল প্রশ্নোত্তর পর্বে মো. রুস্তম আলী ফরাজীর (পিরোজপুর-৩) লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ ছাড়া বাংলাদেশেও এ বছর দীর্ঘমেয়াদি বন্যার কারণে পিয়াজ উৎপাদনকারী এলাকায় স্থানীয়ভাবে মজুদ করা পিয়াজের একটি বৃহৎ অংশ নষ্ট হয়ে যায়, যা স্থানীয় বাজারে পিয়াজের মূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে পিয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২২ থেকে ২৫ লাখ মেট্রিক টন। স্থানীয় উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াজাতকরণ ঘাটতি বাদে প্রায় ১৭ লাখ ৫ হাজার মেট্রিক টন পিয়াজের উৎপাদন হয়েছে। চাহিদার তুলনায় পিয়াজের উৎপাদন ঘাটতি প্রায় ৭ লাখ মেট্রিক টন। এই ঘাটতি আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়।

সৌদি থেকে দুই হাজার ৯২২ মিলিয়ন রেমিট্যান্স আসছে : প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেছেন, সৌদি আরব থেকে প্রতি বছর গড়ে ২ হাজার ৯২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসছে। জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে গতকাল প্রশ্নোত্তর পর্বে গোলাম দস্তগীর গাজীর (নারায়ণগঞ্জ-১) প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী সৌদি আরব থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ হাজার ১১৮ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ হাজার ৩৪৫ দশমিক ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

 ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৯৫৫ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৬৬৭ দশমিক ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এক হাজার ২০২ দশমিক ৭৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী আরও জানান, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ছাড়পত্র নিয়ে সৌদি আরবেই  সর্বাধিক ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৭১ কর্মী কর্মরত রয়েছেন। এর মধ্যে গত বছর গেছে ৫ লাখ ৫১ হাজার ৩০৮ জন। এ ছাড়া বর্তমানে বিশ্বের ১৬৫ দেশে এক কোটি ১৪ লাখ ৬৪ হাজার ৯৪৩ জন বাংলাদেশি কর্মী রয়েছে। তিনি আরও জানান, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে তারা দেশে ৬ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠিয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমান সরকারের নানামুখী উদ্যোগের কারণে ২০১৭ সালে রেকর্ড সংখ্যক ১০ লাখ ৮ হাজার ৫২৫ জন কর্মী বিদেশে গেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অদক্ষ কর্মীর তুলনায় দক্ষ কর্মীর অভিবাসন ব্যয় কম, চাহিদা ও বেতন বেশি।

৮ বছরে ১৩১টি রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : বেগম রোকসানা ইয়াসমীন সুইটির প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, প্রতারণার দায়ে বিগত ৮ বছরে ১৩১টি রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ২০১০ সালে ২৬, ২০১১ সালে ২২, ২০১২ সালে ১৬, ২০১৩ সালে ১৭, ২০১৪ সালে ১৩, ২০১৫ সালে ১২, ২০১৬ সালে ১১ এবং ২০১৭ সালে ১৪টি এজেন্সি বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এগুলোর লাইসেন্স বাতিল বা স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে বহু এজেন্সির জামানতও বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

সর্বশেষ খবর