মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

‘বিলম্ব মাশুল’ প্রায় ৯৩৪ কোটি টাকা

চট্টগ্রামে খাল খনন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন খাল খননের উদ্যোগ নিয়েছিল ২০১০ সালে। এ জন্য তিন বছর পর একনেক ২৮৯ কোটি ৪৪ লাখ ৪ হাজার টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছিল। কিন্তু নানা জটিলতায় শেষ পর্যন্ত খাল খননের কাজ শুরু করা হয়নি। এর মধ্যে প্রকল্প সংশোধন করা হয় একাধিকবার। সর্বশেষ সংশোধনীতে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয় ১২২৪ কোটি ১২ লাখ টাকা। এই বিলম্বের মাশুল গুনতে হবে ৯৩৪ কোটি ৫৫ লাখ ৬ হাজার টাকা। চসিকের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৪ জুন ২৮৯ কোটি ৪৪ লাখ ৪ হাজার টাকার প্রকল্পটি একনেক অনুমোদন দেয়। ২০১৫ সালের ১৩ আগস্ট ৩২৬ কোটি ৮৪ লাখ ৮১ হাজার টাকায় প্রকল্পটির প্রশাসনিক  অনুমোদন দেওয়া হয়। তখন প্রকল্পের মেয়াদকাল ছিল ২০১৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৭ সালের ৩০ জুন। প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ২২৪ কোটি ১৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। তবে নির্ধারিত সময়ে ভূমি অধিগ্রহণ না  হওয়ায় প্রকল্পের কাজ শুরুই করা যায়নি। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্পটি সংশোধন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠায় চসিক। সংশোধিত প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৬১৫ কোটি ২৬     লাখ টাকা। পরে পরিকল্পনা কমিশনের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রকল্পটি পুনরায় সংশোধন করে ৩৭৬ কোটি ১৩ লাখ টাকার অঙ্কে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। গত ২৯ ডিসেম্বর পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভায় প্রকল্পটি পুনরায় আরডিপিপি তৈরি করতে বলা হয়। ফলে চসিক পূর্বের প্রকল্পটি সংশোধন করে ১২২৪ কোটি ১২ লাখ টাকার নতুন করে আরডিপিপি তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। 

চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আরডিপিপি তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১২২৪ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ ও অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণ বাবদ ১১১৮ কোটি ৯৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। কারণ ভূমি অধিগ্রহণের জন্য একসঙ্গেই বরাদ্দ প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সব টাকা একসঙ্গে পাওয়া যায়নি। সংশোধিত প্রকল্পের ক্ষেত্রেও একসঙ্গে টাকা পাওয়া না গেলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কঠিন হবে।’জানা গেছে, প্রকল্প বাস্তবায়ন বিলম্ব হওয়ার সঙ্গে বর্তমানে ভূমির মৌজা রেটও বেড়ে যায়। গত ১৪ জানুয়ারি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মো. মমিনুর রশিদ একপত্রে চসিককে জানান, ‘বাড়ইপাড়া হতে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত বিভিন্ন মৌজায় অধিগ্রহণে প্রস্তাবিত ২৫ দশমিক ১৬৬৬২ একর ভূমির সম্ভাব্য মূল্য এক হাজার ১০৩ কোটি ৮৪ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৬ টাকা’ বলে উল্লেখ করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর