মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

২৩ স্বাদের চা পানে ভোক্তা দর্শনার্থীর ভিড় বসুন্ধরায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ স্বাদের চা পানে ভোক্তা দর্শনার্থীর ভিড় বসুন্ধরায়

কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় চায়ের মেলায় দর্শনার্থীদের ভিড় —বাংলাদেশ প্রতিদিন

রাজধানীর কুড়িলে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চলছে চায়ের মেলা। দেশীয় চা গবেষণা সংস্থা, উৎপাদক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে শুরু হয়েছে এ মেলা। বাংলাদেশ চা বোর্ডের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী এই মেলায় অংশ নিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় চা বাগান, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বিপণন সংস্থা ও চা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। চা শিল্পের দেড়শ বছরের ইতিহাসে দেশে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করা হয়েছে এই মেলার। প্রদর্শনীর দ্বিতীয় দিনে গতকাল গিয়ে দেখা গেছে, বাংলাদেশ চা বোর্ডের বৃহৎ স্টলে সবচেয়ে বেশি ভিড়। চা বোর্ড দেশের চা গবেষণা প্রতিষ্ঠান। তাদের গবেষণালব্ধ বিভিন্ন প্রকারের চায়ের স্বাদ নিতেই দর্শনার্থীদের এই ভিড়। চা বোর্ড ২৩ রকম ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের চা তৈরি করেছে। বিভিন্ন চা বাগান থেকে ঋতুভিত্তিক চা পাতা সংগ্রহ করে এসব চা উৎপাদন করে থাকে। ২৩ রকমের চায়ের মধ্যে রয়েছে— সাতকড়া টি, লেমন টি, লেমন গ্রাস টি, রোজ ফ্লেভারড টি, আইস টি, তুলসী টি, বাসক টি, অরেঞ্জ টি, পুদিনা টি, ত্রিফলা টি, দারুচিনি টি, স্টেভিয়া টি, হোউল লিফ টি, মাসালা টি, জিনজার টি, এলাচি টি, অ্যালোভেরা টি ও টি পিকল উল্লেখযোগ্য। এর বাইরে প্রচলিত স্বাদের চায়ের মধ্যে রয়েছে ব্ল্যাক টি, গ্রিন টি, ওলং টি, হোয়াইট টি। চায়ের স্বাদে নতুন ফ্লেভার দিয়ে উৎপাদিত এ পণ্য দেশের বাইরে রপ্তানি হচ্ছে। এর মধ্যে সাধারণ স্বাদের সঙ্গে ঔষধি গুণসম্পন্ন চা রয়েছে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী স্টেভিয়া। এটি বাংলাদেশে শুধু চা বোর্ড উৎপাদন করে থাকে। টি পিকল সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয়। এটি সাধারণ চায়ের মতো নয়। চা পাতা দিয়ে তৈরি এক ধরনের আচার। যা ভোজনরসিকদের জন্য আলাদা স্বাদ নিয়ে এসেছে। প্রচলিত চা পানে অভ্যস্তরা নতুন স্বাদ পাবেন ওলং টি ও হোয়াইট টিতে। ওলং টি তৈরিতে চা পাতাকে হালকা অক্সিডাইজড করা হয়। এই চা শুধু চীনে তৈরি হতো। এখন বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে। হোয়াইট টি এখনো বিশ্বে দামি চা হিসেবে পরিচিত। এটি চায়ের কুঁড়ি দিয়ে তৈরি হয়। সুবাসিত এ চা আভিজাত্যের প্রতীক। মেলার আয়োজকরা জানান, মেলার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে দেশীয় চায়ের ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরা। বাংলাদেশি চায়ের মান ও বৈচিত্র্য নিয়ে তথ্য-উপাত্ত থাকছে মেলার স্টলগুলোতে। প্রদর্শনীতে ডেনিশ সিমলা টি, মেগনলিনা টি, ইস্পাহানি চা, কাজি অ্যান্ড কাজি টি, হালদা ভেলি টি, এইচআরসি টি, ন্যাশনাল টি, সিলন টি, শ’ওয়ালেস টি, ফিনলে টি, মহসিন টি, ব্র্যাক টি, ডানকান টি, ফ্রেশ টিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত এ মেলা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর