বুধবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

আন্দোলনের হাতিয়ার শাটল ট্রেন

৩০ বছরে শতাধিক হামলা, ৪০ চালককে অপহরণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষার্থীদের একমাত্র প্রধান বাহন শাটল ট্রেন। তিন যুগ ধরে বিশ্ববিদ্যালয়কে অচলের হাতিয়ার হিসেবে এই শাটল ট্রেনটিকে ব্যবহার করছে আন্দোলনকারীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর প্রাণের স্পন্দন এ শাটল। বলা হয়ে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়কে সজীবতাদানকারী একমাত্র অবলম্বন শাটল ট্রেন। এটি চলাচল বন্ধ থাকলে বন্ধ থাকে ক্লাস-পরীক্ষাও। চবি সূত্রে জানা যায়, সর্বপ্রথম ১৯৯১ সালে শাটল বন্ধ করে ক্যাম্পাস অচলের উপায় বের করেন তৎকালীন শিবির ক্যাডাররা। এরপর থেকে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা দাবি আদায়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে আসছে শাটল ট্রেনকে। গত ৩০ বছরে শতাধিকবারেরও বেশি শাটল ট্রেনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ৪০ জনেরও বেশি চালক ও সহকারীকে অপহরণ করেছে আন্দোলনকারীরা। এতে করে প্রায় সময় অচল ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। অন্যদিকে, ছাত্রলীগের কমিটিতে নাম না থাকা পদবঞ্চিতদের আন্দোলন, গ্রুপিং মারামারি, টেন্ডারবাজি, ছাত্রলীগের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে আন্দোলনকারীরা শাটল ট্রেনের চালককে অপহরণ করেছে বেশ কয়েকবার। যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল প্রায় সময়ই বন্ধ থাকে। সর্বশেষ গত রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনের চালক কাউছারকে সকাল সাড়ে দশটায় অপহরণ করে নিয়ে যায় শাখা ছাত্রলীগের ১০ থেকে ১৫ জনের একটি দল। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগেরে সাবেক এক নেতাকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে একটি পক্ষ। কিন্তু উপাচার্য তাদের দাবি মেনে নেয়নি। যার কারণে তারা শাটল ট্রেনের চালককে আটক করে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে। প্রায় ছয় ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয় রোডে শাটল চলাচল বন্ধ ছিল। এতে করে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের।

সর্বশেষ খবর