রবিবার, ১০ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

ফুটপাথের দোকানের আড়ালে চলছে মাদক ব্যবসা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদের বাজার সামনে রেখে রাজধানীতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ফুটপাথ চাঁদাবাজরা। ফুটপাথ দখল শেষে এখন তারা রাস্তার অর্ধেক দখল করে দোকান বসিয়েছে। এসব দোকানের আড়ালে মাদক ব্যবসার খোঁজ পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ওইসব দোকান উচ্ছেদে গিয়ে দখলদারদের প্রভাবে পিছু হটতেও হয়েছে পুলিশকে। গত ৫ জুন বারিধারা জে ব্লকে রাস্তা ও ফুটপাথ দখল করে থাকা দোকান উচ্ছেদে যায় ভাটারা থানা পুলিশ। এ সময় প্রতিবাদে নামে দোকানগুলোর শেল্টারদাতা মাকসুদা বেগম। পুলিশকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেয়। পরে সে আদালতে গিয়ে তিন পুলিশের নামে অভিযোগ দেয়। যদিও মাকসুদা গত বছরের ২০ এপ্রিল গোপালগঞ্জে ১৫০০ পিস ইয়াবাসহ ধরা পড়ে জেল হাজতে যায় বলে জানা গেছে। জানা যায়, তার সঙ্গে ফুটপাথ দখলের বাণিজ্যে জড়িত সবুজ, বাবুল, কামরুল ও বাশার।

জানা যায়, রাজধানীর বারিধারার জে ব্লকে ফুটপাথের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে স্থাপন করা দোকানের মালিক মাকসুদা। সে স্থানীয় মাদক কারবারিদেরও সহযোগী। গত ৩০ মে অবৈধ দোকানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে যান ভাটারা থানার টহল পুলিশ। এ সময় মাকসুদা ও

তার ঘনিষ্ঠ বাবুল, কামরুল, বাশার ও সবুজসহ স্থানীয় মাদক চক্রের সদস্যরা পুলিশকে বাধা দেয়। আর এ নিয়ে বিরোধের জের ধরেই ভাটারা থানার এসআই হাসান মাসুদসহ ভাটারা থানার পুলিশ কনস্টেবল জাকির এবং অজ্ঞাত এক পুলিশ কনস্টেবল ও এক আনসার সদস্যকে আসামি করে আদালতে মামলা করে মাকসুদা। ভাটারা থানার এসআই হাসান মাসুদ জানান, মাকসুদা মূলত মাদক চক্রের সদস্য। তাকে দিয়ে ফুটপাথে অবৈধভাবে চায়ের দোকান বসিয়ে মাদক কারবার করে বাবুল, কামরুল, বাশার ও সবুজসহ স্থানীয় মাদক চক্রের সদস্যরা। সংঘবদ্ধ এই চক্রের সদস্যরা মিলে এলাকায় ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে। এমন খবর পেয়ে মাকসুদাকে দোকান বন্ধ করতে বলা হয়। কিন্তু সে প্রভাবশালী চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দাপটের সঙ্গে দোকান খোলা রাখে। গত ৩০ মে জে ব্লকের ২০ নম্বর সড়কে সহকর্মীদের নিয়ে টহল ডিউটিতে বের হন তিনি। জে ব্লক ছাড়াও সেদিন আশপাশের এলাকায় নিয়মিত ডিউটি ছিল তার। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জে ব্লকে ঢুকেই যানজট চোখে পড়ে। সামনে এগিয়ে গিয়ে দেখতে পান ফুটপাথের চায়ের দোকান রাস্তার কিছু অংশ জুড়ে রয়েছে। রাস্তার ওপর বেঞ্চ পেতে কিছু যুবক বসে আছে। চায়ের দোকানি মাকসুদাকে রাস্তা থেকে বেঞ্চ সরিয়ে দোকান বন্ধ করতে বলা হয়। আর তখনই মাকসুদা ও তার দোকানে বসে থাকা বাবুলসহ আরও অনেকে পুলিশকে বাধা দেয়। এই নিয়ে কথা কাটাকাটি ও পুলিশের কাজে তারা বাধা দেয়।  এদিকে অভিযোগ রয়েছে, দখলবাজদের কারণে উচ্ছেদ আটকে আছে ১০০ ফুট রোড খ্যাত মাদানী এভিনিউ। শুধু পুলিশ নয় রাজউক, সিটি করপোরেশনের বারবার উদ্যোগ সত্ত্বেও কূটনৈতিক পল্লীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি কোনোভাবেই দখলমুক্ত করতে পারেনি। এরই মধ্যে ব্যস্ততম সড়কের মধ্যেই গড়ে উঠেছে হকার্স মার্কেট, রেন্ট-এ-কার সেন্টার, পিকআপ-ট্রাকের মিনি টার্মিনাল, অটোস্ট্যান্ড, লেগুনা  স্ট্যান্ড, বাঁশ বাজার, ফলপট্টিসহ রমরমা কাঁচাবাজার।

সর্বশেষ খবর