বুধবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ঢাকায় থেকে সিলেটে হামলা চালিয়েছে বিএনপি নেতারা!

সিলেটে তিন দিনে চার মামলা আসামি ১৯৬

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সিলেটে হঠাৎ করে গণহারে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে পুলিশ। তিন দিনে চারটি মামলায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতাসহ ১৯৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। একের পর এক মামলায় দিশাহারা হয়ে পড়ছেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে হয়রানি করতেই এসব ‘গায়েবি’ মামলা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ দলটির নেতাদের। তবে পুলিশ সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর নগরীর জালালাবাদ থানায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৫৯ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। একইদিন শাহপরান থানায় ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ সুরমা থানায় ৫২ ও ১৭ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় ৫৫ জনকে আসামি করে মামলা দিয়েছে পুলিশ। এসব মামলায় পুলিশের ওপর হামলা, নাশকতার চেষ্টা প্রভৃতি অভিযোগ আনা হয়েছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।

এ চারটি মামলায় সিলেট বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের শীর্ষ নেতাদের আসামি করা হয়েছে। মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সিলেট জেলা বিএনপি সভাপতি আবুল কাহের শামীম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রব ফয়সল, মহানগর বিএনপি সভাপতি নাসিম হোসাইন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আজমল বখত চৌধুরী সাদেক, সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল কাহির চৌধুরী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আরিফ ইকবাল নেহাল, জাকির হোসেন, জেলা ছাত্রদল সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনার, মহানগর ছাত্রদল সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এষ, সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান প্রমুখ। বিএনপির অভিযোগ, ১৭ সেপ্টেম্বর জেলা বিএনপি সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীমের বাসার সামনে ‘পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ’ এনে করা মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, তার মধ্যে কয়েকজন নেতা ঘটনার দিন ঢাকায় ছিলেন। অন্য মামলাগুলোর ক্ষেত্রেও পুলিশ মনগড়া তথ্য দিয়ে গায়েবি মামলা করেছে বলে তাদের অভিযোগ। সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আজমল বখত চৌধুরী সাদেক বলেন, ‘১৭ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানার মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে। অথচ ঘটনার দিন আমিসহ দলের আরও কয়েকজন সিনিয়র নেতা ঢাকায় ছিলাম।’ সিলেট জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ বলেন, ‘যেসব ঘটনা আদৌ ঘটেনি, সেসব ঘটনায় পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। সামনে নির্বাচন, আমাদের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে, সাংগঠনিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করতে, হয়রানি করতে গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে।’

এ বিষয়ে সিলেট নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার পরিতোষ ঘোষ বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে নয়, যেখানে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে মামলা দেওয়া হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর