রবিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

খুলনায় দুই টার্গেটে মাঠে বিএনপি

নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে দলীয় কর্মসূচিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

জাতীয় রাজনীতির আবহে খুলনায় ক্ষমতার পালাবদল হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। ওই নির্বাচনে খুলনা-২ ছাড়া বাকি পাঁচটি আসনে জয় পায় আওয়ামী লীগ। এর আগে ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে বিএনপি। একইভাবে খুলনা-১ ছাড়া বাকি পাঁচটি আসন পায় বিএনপি-জামায়াত জোট। তবে ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে ভোট বর্জন করায় বিএনপি পড়ে কঠিন রাজনৈতিক চাপে। ওই নির্বাচনে ছয়টি আসনের সবকটিই পায় আওয়ামী লীগ। এসব হিসাব-নিকাশ সামনে রেখে খুলনায় এবার আন্দোলন ও নির্বাচন এ দুই ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছে বিএনপি। প্রতিদিনই দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। মাঠ পর্যায়ের নেতারা বলছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ছয়টি আসনেই এবার বিএনপি প্রার্থীরা বিজয়ী হবেন।

জানা যায়, খুলনায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রয়েছে শক্ত অবস্থান। সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রচারণায় নেমেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। বিশ্লেষকদের মতে, গত নির্বাচনগুলোর মতো আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীদের মধ্যেই ভোটের লড়াই হবে। তবে নির্বাচনে সব আসনই নিজেদের দখলে নিতে চায় বিএনপি।

খুলনা-২ আসনের সাবেক এমপি মহানগর বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ও নির্বাচনের জন্য বিএনপি প্রার্থীরা প্রয়োজনে ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছেন। রাজপথে আন্দোলনে নেতা-কর্মীরা গ্রেফতার ও পুলিশি নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তার পরও নির্বাচনের মাঠে বিএনপি শক্ত অবস্থানে রয়েছে।’

এদিকে আন্দোলনের পাশাপাশি দলের প্রার্থী বাছাইও প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্মসম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, খুলনার ছয় আসনে বিএনপির যেমন একাধিক প্রার্থী আছেন, তেমনি জোটের প্রশ্নে ভিন্ন সিদ্ধান্ত আসতে পারে। জেলা বিএনপি সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘খুলনা-১ আসনে বিএনপি এবার তুলনামূলক ভালো অবস্থানে রয়েছে। বিগত একতরফা সংসদ ও সিটি নির্বাচনে খুলনায় ব্যাপক ভোট কারচুপি হয়েছে। কিন্তু এবার কোনো ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হবে না। জনগণ ভোট দিতে পারলে খুলনার সবকটি আসনেই আমরা বিজয়ী হব।’

সর্বশেষ খবর