শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ঐক্য দেখে সরকার আবোল-তাবোল বলছে : মোশাররফ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ঐক্যের সঙ্গে মোকাবিলা করার শক্তি সরকারের নেই। সে জন্য তারা বিভিন্ন আবোল-তাবোল কথা বলছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক প্রতিবাদ সভায় ড. মোশাররফ হোসেন এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, দেশে গণতন্ত্র ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো যতগুলো কালা কানুন আছে, সেসব থেকে মানুষ মুক্তি পাবে। কারণ সরকারকে তাড়াতে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু স্মৃতি সংসদ এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, নির্বাহী সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে তাদের দাবিগুলোর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঐক্য হতে পারে। তিনি বলেন, দেশের মানুষ এক হয়েছে। জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অনাচার, দুর্নীতি, লুটপাট করে আওয়ামী লীগ এমনিতেই ভীত। জনগণের জাতীয় ঐক্য দেখে এখন আরও আতঙ্কে আছে। তাই তারা উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া নাকি জাতীয় ঐক্য হয় না। কেমন হাস্যকর কথা! বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, নব্বইয়ে আমরা যখন স্বৈরাচারী এরশাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করি— তখন কি এরশাদের জাপা আমাদের ঐক্যে ছিল? আমাদের ঐক্য ছিল এরশাদ ও জাপার বিরুদ্ধে। আজকেও আমাদের ঐক্য স্বৈরাচারী-ফ্যাসিস্ট এই আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে। তিনি (ওবায়দুল কাদের) যদি হাস্যকরভাবে বলেও থাকেন, এরপরও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে বলতে চাই, আপনারা যে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন, হত্যা-গুম, নির্যাতন ও অত্যাচার করছেন— এর জন্য আগে আপনারা জনগণের কাছে ক্ষমা চান।

ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, জনগণ যে ন্যূনতম পাঁচটি দাবিতে একমত হয়েছে, তফসিল ঘোষণার আগে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, ইভিএম বাতিল এবং নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা— জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার পর সে দাবিগুলো মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেন, তাহলে আমরা আপনাদের জাতীয় ঐক্যে আহ্বান জানাব। কারণ এই দাবিগুলোর সঙ্গে সবাই একমত হয়েছে। এই দাবিগুলো যদি আপনারা মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেন, তাহলে আমরা আপনাদের জাতীয় ঐক্যে স্বাগত জানাব। কিন্তু এটা পারবেন না। এটা না পারলে জাতীয় ঐক্যে নেওয়াও সম্ভব না।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন এ দেশে আর হবে না এবং হতে দেওয়া হবে না। এই ভয়ে সরকার বিএনপিকে কোণঠাসা করতে চায়। যারা নির্বাচনে ভূমিকা রাখবেন, তাদের কারাগারে রাখতে চাচ্ছে। সে কারণে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছে। আমাদেরও যে কোনো সময় নিয়ে যেতে পারে। এই একটি পরিকল্পনা নিয়ে সরকার এগোচ্ছে। এ লক্ষ্যে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ১৩ হাজার ১৩০ জনের বিরুদ্ধে ৩ হাজার ৬৩৬টি মামলা দেওয়া হয়েছে। এসবের কারণে দেশ একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর