রবিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

থামছেই না ডিমওয়ালা ইলিশ ধরা

নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

থামছেই না ডিমওয়ালা ইলিশ ধরা

সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কুমিল্লার হোমনা-মেঘনা উপজেলাসহ পাশের আরও দুটি উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনা নদীতে নির্বিঘ্নে চলছে ডিমওয়ালা ইলিশ ও জাটকা শিকার। হোমনা, মেঘনা, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলাসংলগ্ন মেঘনায় একশ্রেণির অসাধু ও লোভী জেলে নিয়মিত কারেন্ট জাল ফেলে নিধন করছে ডিমওয়ালা মা-ইলিশ ও জাটকা। এ নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আগামীকাল। সরেজমিন হোমনা ও মেঘনা উপজেলার পার্শ্ববর্তী এলাকাসংলগ্ন মেঘনায় গিয়ে দেখা গেছে, জেলেরা ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে নদীতে অবাধে জাল ফেলে মাছ শিকারে ব্যস্ত। এ সময় সাংবাদিকদের দেখে জেলেরা তাদের জাল ফেলে পালিয়ে যায়। হোমনা উপজেলার শ্রীমদ্দি, চরেরগাঁও, লটিয়া, মেঘনা উপজেলার তালতলী, চন্দনপুর, শাপমারা, মুগারচর, পাড়ারবন্দ, মহিশারচর, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার কানাইনগর, কড়িকান্দি, খাসনগর, বাহেরচর, মায়ারামপুর, আড়াইহাজার উপজেলার কদমীরচর, কালাপাহাড়িয়া, খালিয়ারচর, মধ্যারচর এলাকায় জেলেরা দিনে-রাতে এসব মা-ইলিশ ও জাটকা শিকার করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জেলে জানান, ২০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের সঙ্গে দেশীয় নানান প্রজাতির ছোট-বড় অনেক মাছও ধরা পড়ছে। তবে জাটকা ইলিশের পরিমাণ ছিল বেশি। আবার এর মধ্যে প্রায় সবই ছিল ডিমওয়ালা। মাঝেমধ্যে প্রশাসনের অভিযানও ছিল। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রশাসনের নজরদারি ছিল অপ্রতুল। এর পরও থেমে থাকেনি ডিমওয়ালা ইলিশ ও জাটকা নিধন। স্থানীয় এক বৃদ্ধ জানান, অবৈধভাবে শিকার করা ওইসব জাটকা ও ডিমওয়ালা ইলিশ জেলেরা নিজে অথবা ফড়িয়াদের মাধ্যমে গ্রাম ও পাড়া-মহল্লায় তুলনামূলক কম দামে বিক্রি করছে। ২০০ থেকে ২৫০ গ্রামের জাটকা ইলিশ ১০০ থেকে ১৫০ টাকা হালি, ৪০০-৫০০ গ্রামের ওজনের ইলিশ মাত্র ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা হালিতে বিক্রি করছে। হোমনা উপজেলা মত্স্য অফিসার কারিশমা আহমেদ জাকসি জানান, আমরা কয়েক দিন নদীতে অভিযান চালিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজগর আলী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৫ কেজি ইলিশসহ পাঁচ জেলেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, ৫ হাজার ৭০০ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ ও ধ্বংস করে তাদের ব্যবহূত চারটি নৌকা আটক করেছেন। মেঘনা উপজেলা মত্স্য কর্মকর্তা সজীব ভট্টাচার্য জানান, ‘আমাদের লোকবল কম হওয়ায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। এ মাসে চার দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১৬ কেজি ইলিশ জব্দ করে তা এতিমখানায় দিয়ে দিয়েছি। এ ছাড়া নিয়মিতভাবে বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করেছি।’

সর্বশেষ খবর