শুক্রবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে

——— রাশেদ খান মেনন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, প্রত্যেক এলাকার সর্বস্তরের রাজনৈতিক নেতৃত্বের দায়িত্ব নিজ এলাকার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়া। দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে একটি বৈষম্য বিরোধী আইন ও সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে মানবাধিকার সংগঠন শারি আয়োজিত জাতীয় নির্বাচন ২০১৮ ও সংখ্যালঘু নিরাপত্তা শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান আমল থেকেই সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চলে আসছে, যা অস্বীকার করার উপায় নেই। বিভিন্ন ক্ষেত্রেই এখন আমাদের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার প্রকাশ ঘটছে। ২০০১ সালের নির্বাচনে সারা দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও সে সময় সরকার এর কোনো দায় না নিয়ে বরং দেশে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে প্রচারণা চালিয়েছিল। তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী প্রচারণায় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে না। শারির নির্বাহী পরিচালক প্রিয় বালা বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামান, সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, মানবাধিকার কর্মী ড. মেঘনা গুহ ঠাকুরতা, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সভাপতি নির্মল রোজারিও প্রমুখ বক্তব্য দেন। ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংখ্যালঘু নির্যাতন সংক্রান্ত ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল।  বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, এখনো জাতীয় নির্বাচনের সময় নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করা সম্ভব হয়নি। মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল আগামী নির্বাচনে কোনো সাম্প্রদায়িক ব্যক্তিকে মনোনয়ন না দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, যদি তাদের মনোয়ন দেওয়া হয় জনগণ প্রতিরোধ করবে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, রাষ্ট্র সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি বলে স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরেও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য কথা বলতে হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর