শুক্রবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
বাজার দর

কমেছে নিত্যপণ্যের দাম খুশি ক্রেতা-বিক্রেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচাবাজারে মিলছে সুখবর। তিন মাসের বেশি সময় ধরে রাজধানীর বাজারগুলোয় প্রতি কেজি ১২০ টাকার ওপরে বিক্রি হওয়া শিমের দাম কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। শিমসহ প্রতিটি সবজির দাম কমেছে। এক মাসের ব্যবধানে কমেছে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া ডিমের দাম। কমেছে চালের দামও। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য কমতে শুরু হওয়ায় খুশি ক্রেতা-বিক্রেতারা। বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে পণ্যের সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কমছে। আর দাম কম হওয়ায় বিক্রি বেড়েছে। তবে কমেনি সাদা সোনা খ্যাত ইলিশের দাম। গতকাল রাজধানীর ফকিরাপুল কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, শিমের পাশাপাশি ফুলকপি, পাতাকপি, মুলাসহ শীতের সব সবজির দাম কম। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে শীতের সবজি ভরপুর থাকায় দাম কমছে। খুচরা বিক্রেতা আবুবকর জানান, এখন শীতের সব সবজিই বাজারে ভরপুর। সব ধরনের সবজির দাম কমেছে।

সামনে হরতাল-অবরোধ বা ঝড়বৃষ্টি না হলে দাম আরও কমবে। গত সপ্তাহে যে ফুলকপি বিক্রি হতো ৪০ টাকায় এখন তা ২০-২৫ টাকা। লাউ প্রতি পিস ৫০, মুলার কেজি ৩০, বেগুন ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ৪০-৫০ টাকা পিস বিক্রি হওয়া পাতাকপি ৩০ টাকায় নেমে এসেছে।

কমেছে কাঁচা মরিচের দামও। দোকানে ৮০ টাকা কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হলেও ভ্যানে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। টমেটোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে গাজরের দাম।

বাজারভেদে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। আর গাজর ৮০ থেকে ১০০ টাকা। বিজয়নগরের বাসিন্দা গৃহিণী আলেয়া খান বলেন, অনেকদিন ধরেই বাজারে সবজির দাম বাড়তি ছিল। এখন দাম কিছুটা কমছে। টমেটো ও গাজরের দামও কমা উচিত। মাছবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশে ভরপুর হলেও দাম কমছে না। ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছের কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। গত সপ্তাহে একই ওজনের ইলিশের দাম ছিল ৪০০ টাকা। আর ছোট আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। ইলিশ বিক্রেতা মো. আলাউদ্দিন বলেন, ক্রেতাদের মাঝে ইলিশের চাহিদা বেশি তবে আড়তে ইলিশ কম। ফলে দাম বাড়ছে। ইলিশ ছাড়াও ক্রেতাদের মধ্যে দেশি মাছের চাহিদা বেশি। মাছ বিক্রেতা জব্বার শিকদার জানান, দেশি রুই বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি, শিং ৪০০ থেকে ৫৫০, বোয়াল ৬৫০, কোরাল ৬৫০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০ টাকা কমে কাতল মাছ এখন ৩০০ টাকা কেজি। অন্যদিকে ১০ টাকা কমে ডিমের ডজন এখন ৯০ টাকা। অপরিবর্তিত রয়েছে পিয়াজ, বয়লার মুরগি, ডিম, গরু ও খাসির মাংসের দাম। প্রতি কেজি দেশি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা। আমদানি করা ভারতীয় পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩৫ টাকা কেজি। বয়লার মুরগির কেজি ১৩০-১৪০ টাকা। গরুর মাংস ৪৮০-৫০০ ও খাসির মাংস ৬৫০-৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কাটারিভোগ ছাড়া কমেছে সব ধরনের চালের দাম। লতিফ রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী মনির হোসেন জানান, গত সপ্তাহে ৬৬ টাকা দরে বিক্রি হওয়া নাজিরশাইল এখন ৬০ টাকা কেজি। মিনিকেট ৬০, তবে পাইকারি ৫৪ টাকা। কেজিপ্রতি ২ টাকা কমে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে, পাইজাম ৪২, ১০ টাকা কমে চিনিগুঁড়া এখন ৮০ টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর