শনিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

থামছেই না ভেজাল ওষুধ বিক্রি

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে ভেজাল, নকল, অবৈধ, অনুমোদনহীন এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির দৌরাত্ম্য থামছেই না। ওষুধ প্রশাসন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করলেও ভেজালকারী এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌড় কমেনি। আবার কখনো প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়েও চলছে অবৈধ ওষুধ বিকিকিনি। কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কাই করছে না এই অসাধু ব্যবসায়ীরা। ফলে সাধারণ ক্রেতারা প্রতিনিয়তই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন, ব্যয় হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলার ওষুধ প্রশাসন গত দুই মাসে নগর ও জেলার ফার্মেসিতে নানা অনিয়ম-অপরাধের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানে ১৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে। তাছাড়া ফার্মাসিস্ট দিয়ে ফার্মেসি পরিচালনা না করায় অনেককে শেষবারের মতো সতর্ক করা হয়। চট্টগ্রামের ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক মো. কামরুল হাসান বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগর ও জেলায় আমরা নিয়মিতই অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, যে ফার্মেসিতেই অভিযান চালাই সেখানেই অনিয়ম ধরা পড়ছে। অভিযানে বিক্রি নিষিদ্ধ, মেয়াদোত্তীর্ণ, ভেজাল, সরকারি বিনামূল্যের, বিক্রি নিষিদ্ধ সরকারি ফিজিশিয়ান স্যাম্পল ধরা পড়ছে। তাছাড়া অতিরিক্ত মুনাফার লোভে ক্ষতিকর ওষুধও বিক্রি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশকিছু ফার্মেসিকে জরিমানা করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’ ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার জলদী এলাকায় মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিজিশিয়্যান স্যাম্পল সংরক্ষণ ও প্রদর্শন, নকল এসএমসি খাবার স্যালাইন, সঠিক তাপমাত্রায় ওষুধ সংরক্ষণ না করার অপরাধে মেসার্স জনতা ফার্মেসিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর