শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
বরিশাল-১

সম্পদে এগিয়ে হাসানাত শিক্ষায় স্বপন

রাহাত খান, বরিশাল

সম্পদে এগিয়ে হাসানাত শিক্ষায় স্বপন

নির্বাচনী এলাকায় নির্বিঘ্নে প্রচারণার সুযোগ চেয়ে গতকাল সিইসির কাছে আবেদন করেন বরিশাল-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী জহিরউদ্দিন স্বপন —বাংলাদেশ প্রতিদিন

মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ের পর বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা চার প্রার্থীর মধ্যে সম্পদে এগিয়ে আওয়ামী লীগের আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। শিক্ষায় এগিয়ে বিএনপির দুই প্রার্থীর একজন এম জহিরউদ্দিন স্বপন। আর সব থেকে বেশি মামলায় জর্জরিত বিএনপির আরেক প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবাহান। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-১ আসনে পাঁচজন মনোনয়নপত্র জমা দেন। গত ২ ডিসেম্বর মনোনয়ন যাচাই-বাছাইকালে হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া থাকায় জাকের পার্টির প্রার্থী দুবাই প্রবাসী মো. বাদশা মিয়ার মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। মাঠে থাকা অপর চার প্রার্থীর মধ্যে বার্ষিক আয় এবং স্থাবর-অস্থাবর সম্পদে এগিয়ে ওই আসনের এমপি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। মনোনয়নপত্রে স্বশিক্ষিত উল্লেখ করা হাসানাতের বার্ষিক আয় এবং সম্পদ দুটোই বেড়েছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় তিনি বার্ষিক আয় দেখিয়েছিলেন ২৪ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ২ কোটি ৪৮ লাখ ৫৮ হাজার ১৩৭ টাকা। অর্থাৎ গত পাঁচ বছরে তার বার্ষিক আয় বেড়েছে ২ কোটি ২৩     লাখ ৭৯ হাজার ১৩৭ টাকা। হলফনামা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে বর্তমানে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই। অতীতে অস্ত্র ও দুর্নীতি প্রতিরোধসহ বিভিন্ন আইনে ১০টি মামলা থাকলেও সেগুলো থেকে বেকসুর খালাস এবং অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি। এই আসনের বিএনপি প্রার্থী এম জহিরউদ্দিন স্বপনের বার্ষিক আয় ১৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা। নগদ আছে ৪ লাখ ৩০ হাজার ২২ টাকা এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৪২০ টাকা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী স্বপনের বিরুদ্ধে একটি মামলা বিচারাধীন। এই আসনে বিএনপির আরেক প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবহানের বার্ষিক আয় ৬ লাখ ৭৬ হাজার ১২৫ টাকা। তার ওপর নির্ভরশীলদের বার্ষিক আয় ৮ লাখ ৮২ হাজার ৬০৫ টাকা। নগদ ৫ লাখ টাকা আছে ইঞ্জিনিয়ার সোবাহানের। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ২ লাখ ২৪ হাজার ৬৬৩ টাকা। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবাহানের বিরুদ্ধে বর্তমানে আদালতে সাতটি মামলা বিচারাধীন। যার সবগুলোতেই তিনি জামিনে রয়েছেন। এ ছাড়া এই আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মো. রাসেল সরদার উচ্চমাধ্যমিক পাস। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। বছরে আয় ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। নগদ টাকা রয়েছে ৫৫ হাজার।

সর্বশেষ খবর