ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের দেওয়া সম্পদবিবরণীর হিসাব খতিয়ে দেখুন। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া প্রার্থী ও পরিবারের অর্জিত সম্পদের হিসাবে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’ গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি এ দাবি জানান। ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দেওয়া সম্পদের হিসাবে প্রার্থী ও তাদের পরিবারের অর্জিত সম্পদ পূর্ববর্তী নির্বাচনে জমা হিসাবের তুলনায় বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি আইন ও বিধিসম্মত কি না তা খতিয়ে দেখা অপরিহার্য। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ও দুদকের উচিত এসব সম্পদবিবরণীর যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করা। সম্পদের উৎস সম্পর্কে নিরপেক্ষভাবে নিশ্চিত হওয়া এবং আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটে থাকলে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয় বা দলীয় অবস্থান নির্বিশেষে এবং কোন ধরনের অনুরাগ-বিরাগের বশবর্তী না হয়ে কাজ করতে হবে। কোনো বিশেষ দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব বা বৈষম্য করা হলে তা হবে অবিমৃশ্যকারিতা। ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ক্ষমতার অপব্যবহারের ব্যাপকতা চিহ্নিত করা এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য এটি অপরিহার্য। সম্প্রতি প্রার্থীদের সম্পদবিবরণী খতিয়ে দেখার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের বক্তব্য আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। আইনপ্রণেতা হিসেবে কেউ যদি অবৈধ সম্পদ অর্জনের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে তার সংসদে সদস্য হওয়ার কোনো বৈধতা ও নৈতিক যোগ্যতা থাকতে পারে না। নির্বাচন কমিশনেরও উচিত অবৈধ সম্পদ অর্জনে সন্দেহভাজনদের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের সঙ্গে সমন্বিত ও সহযোগিতামূলক তদন্তের ব্যবস্থা গ্রহণ করে নির্বাচনী আইন ও বিধির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া।
