শিক্ষা, রেল ও বিদ্যুৎ খাতে যুক্তরাজ্যের ব্যক্তি খাতের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গতকাল ব্রিটিশ সরকারের বাণিজ্যসংক্রান্ত একটি প্রতিনিধি দল পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দফতরে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি ট্রেড কমিশনারকে এ আহ্বান জানান। পরিকল্পনামন্ত্রী এ সময় যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যবিষয়ক প্রতিনিধি দলের সামনে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ট্রেড কমিশনার ক্রিসপিন সিমন। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এখন জনমিতিক লভ্যাংশ (ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট) সময় চলছে, যা ২০৬১ সাল পর্যন্ত থাকবে। দক্ষ জনবল হিসেবে গড়ে তুলতে দেশের তরুণ-তরুণীদের বিভিন্ন ট্রেডকোর্সের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সরকার ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে।
বিনিয়োগ সহজতর ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ সময় ক্রিসপিন সিমন বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের দীর্ঘদিনের বাণিজ্য সম্পর্ক তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের ব্যক্তি খাতের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সরকারের বাণিজ্যনীতি ও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে গৃহীত পরিকল্পনারও তিনি প্রশংসা করেন। নিয়মিত ৭ শতাংশের ওপর প্রবৃদ্ধি অর্জন করায় পরিকল্পনামন্ত্রীকে তিনি অভিনন্দনও জানান। এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী যুক্তরাজ্যের ব্যক্তি খাতের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। তার এ আমন্ত্রণের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রেড কমিশনার পরিকল্পনামন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে বলেন, তিনি ফিরে গিয়ে যুক্তরাজ্যের ব্যক্তি খাতকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের কথা জানাবেন। শিক্ষা, রেলওয়ে ও বিদ্যুৎ খাতে বিশেষ করে সোলার পাওয়ারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
