বৃহস্পতিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

খুলনার এমপিদের যত সম্পদ

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনার এমপিদের যত সম্পদ

একাদশ সংসদ নির্বাচনে খুলনার ছয়টি আসনের মধ্যে পুনরায় ভোটে অংশ নিচ্ছেন আওয়ামী লীগের চারজন এমপি। পাঁচ বছরের ব্যবধানে খুলনা-১ আসনে পঞ্চানন বিশ্বাসের আয় ও সম্পদ বেড়েছে। আর খুলনা-৩ আসনে বেগম মন্নুজান সুফিয়ান ও খুলনা-৫ আসনে নারায়ণ চন্দ্র চন্দের বার্ষিক আয় কমলেও বেড়েছে অস্থাবর সম্পত্তি। এমপির মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থবিত্তের মালিক খুলনা-৪ আসনের শিল্পপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। প্রতি মাসে তার ব্যক্তিগত আয় ৫৩ লাখ টাকা। নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা প্রার্থীদের হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। হলফনামা অনুযায়ী, পেশা হিসেবে কৃষিকাজ দেখিয়েছেন খুলনার ১ আসনের পঞ্চানন বিশ্বাস। তার বার্ষিক আয় ১৩ লাখ ৮৩ হাজার ৭৬৬ টাকা। অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ১ কোটি ২ লাখ টাকা মূল্যের। ঢাকা ও খুলনায় তার দুটি বাড়ি রয়েছে। দশম সংসদ নির্বাচনে তিনি পেশা উল্লেখ করেন কৃষি ও সিমেন্ট ব্যবসা। তখন বার্ষিক আয় ছিল ১০ লাখ টাকা। অস্থাবর সম্পদ ছিল ২৬ লাখ ৫০ হাজার ৩৬০ টাকার। খুলনা-৩ আসনে মন্নুজান সুফিয়ান গৃহসম্পত্তি ভাড়া, মত্স্য চাষ, সংসদে ভাতা প্রাপ্তিকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন। তার বার্ষিক আয় ১৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে তার কাছে নগদ রয়েছে ৫১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৮৯ টাকা। স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে দৌলতপুরে ৩ কাঠা জমি, রাজউকে ৫ কাঠা, রেলগেটে ৮ শতক ও বিল ডাকাতিয়ার জমি। মহেশ্বরপাশায় সাড়ে ১১ শতক জমির ওপর তিনতলাবিশিষ্ট বাড়ি দেখালেও মূল্য উল্লেখ করেননি। দশম সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় তার বার্ষিক আয় ছিল ১৮ লাখ ৭০০ টাকা। এদিকে সম্পদ ও আয় বেড়েছে খুলনা-৪ আসনের আবদুস সালাম মুর্শেদীর। তিনি পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠান, বস্ত্রশিল্প, ব্যাংক ও হাসপাতালের পরিচালক। তার নিজ নামে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ৯৫ কোটি ৫৩ লাখ ৬৭ হাজার ৭১২ টাকার। স্ত্রী ও তার ওপর নির্ভরশীলদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ২৫ কোটি ৬১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৯৬ টাকা। কোনো ব্যাংকে তার ঋণ না থাকলেও বিভিন্ন দায় রয়েছে ৬ কোটি ৭৪ লাখ ২০ হাজার টাকার। এর আগে উপনির্বাচনে হলফনামায় তার নিজ নামে ৮৫ কোটি ৬৪ লাখ ৯৯ হাজার ৩৯৩ টাকার সম্পদ উল্লেখ করেন। তার স্ত্রী ও সন্তানদের সম্পদ দেখিয়েছিলেন ২৪ কোটি ৩৭ লাখ ৪৪ হাজার ৫৩৫ টাকার। খুলনা-৫ আসনে মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ হলফনামায় কৃষি, ইটভাটার ব্যবসা, সংসদ সদস্য ও মন্ত্রিত্বকে পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তার বার্ষিক আয় ২১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তার ব্যাংক ঋণ রয়েছে এক কোটি ৩৮ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। এর আগে দশম সংসদ নির্বাচনে তার বার্ষিক আয় ছিল ২১ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। ৫ বছরের ব্যবধানে তার আয় কমলেও বেড়েছে অস্থাবর সম্পত্তি।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর