শুক্রবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সম্পদ-আয় বেড়েছে সিলেটের এমপিদের

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সম্পদ-আয় বেড়েছে সিলেটের এমপিদের

পাঁচ বছরের ব্যবধানে সম্পদ ও আয় দুটোই বেড়েছে সিলেটের সংসদ সদস্যদের। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় তারা এই সম্পদের বিবরণও তুলে ধরেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্পদ বেড়েছে সিলেট-২ আসনের এমপি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়ার। গেল পাঁচ বছরে তার সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৬৫ গুণ। সিলেট-১ আসনে এবার নির্বাচন করছেন না বর্তমান এমপি আবুল মাল আবদুল মুহিত। তাই নির্বাচন কমিশনে তার হলফনামা জমা দেওয়ারও প্রয়োজন পড়েনি। তবে ২৬ নভেম্বর ঢাকায় সচিবালয়ে অনলাইনে ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেন অর্থমন্ত্রী মুহিত। তাতে দেখা যায়, গেল ১০ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে ১ কোটি ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৪৬১ টাকা। ২০০৮ সালে দেশে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। তখন মুহিতের সম্পদের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ১৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩৬ টাকা। ১০ বছরের ব্যবধানে তার সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২৮ লাখ ১৫ হাজার ৪৯৭ টাকায়। হলফনামা অনুসারে, সিলেট-২ আসনের এমপি জাতীয় পার্টির ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়ার অস্থাবর সম্পদ পাঁচ বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৮৩ লাখ ৩৮ হাজার ৪৪৪ টাকা। এ ছাড়া তার আয় বেড়েছে ১১ লাখ ৫ হাজার টাকা। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় নির্বাচনে এহিয়ার হলফনামা অনুসারে, তখন তার বার্ষিক আয় ছিল ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ওই সময় তার অস্থাবর সম্পদ ছিল ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এবার একাদশ জাতীয় নির্বাচনের হলফনামা অনুসারে, এহিয়ার বার্ষিক আয় ১২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা এবং অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৮৪ লাখ ৬৮ হাজার ৪৪৪ টাকার। তবে গেলবারের মতো এবারও এহিয়া কোনো স্থাবর সম্পদ দেখাননি। সিলেট-৩ আসনের এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস দশম জাতীয় নির্বাচনে (২০১৪) বার্ষিক আয় দেখিয়েছিলেন ১১ লাখ ১৬ হাজার টাকা। ওই সময় তার অস্থাবর সম্পদ ছিল ৮ কোটি ৮১ লাখ ৮৫ হাজার ৭১৪ টাকার এবং স্থাবর সম্পদ ছিল ১ কোটি ৪৬ লাখ ৫৫ হাজার ২০০ টাকার। এবার একাদশ জাতীয় নির্বাচনের হলফনামা অনুসারে, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েসের বার্ষিক আয় ৪৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। তার অস্থাবর সম্পদ ৯ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ২৯৮ টাকার এবং স্থাবর সম্পদ ২ কোটি ৯৪ লাখ ৩৭ হাজার ৯৮৬ টাকার। সিলেট-৪ আসনের এমপি ইমরান আহমদ। গেল নির্বাচনে হলফনামায় তিনি বার্ষিক আয় ৫ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকা দেখিয়েছিলেন। ওই সময় তার অস্থাবর সম্পদ ছিল ৫২ লাখ ৯২ হাজার ৩৮২ টাকার এবং স্থাবর সম্পদের মধ্যে ছিল ৫৫ হাজার টাকা মূল্যের কৃষিজমি ও একটি চা-বাগানের ০.১৫৪ অংশের মালিকানা। এবার একাদশ জাতীয় নির্বাচনের হলফনামা অনুসারে, ইমরান আহমদের বার্ষিক আয় ২৯ লাখ ৫১ হাজার ৬২৩ টাকা। তার অস্থাবর সম্পদ ১ কোটি ৫২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৯৭ টাকার এবং স্থাবর সম্পদের মধ্যে ২৪.২৭ একর কৃষিজমি, ৪.৫০ একর অকৃষি জমি এবং শ্রীপুর চা-বাগানের ০.১৫৪ অংশের মালিকানা আছে। সিলেট-৫ আসনের এমপি সেলিম উদ্দিনের অস্থাবর সম্পদ পাঁচ বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৩৭ লাখ ৭৬ হাজার ৩৬৭ টাকার। দশম জাতীয় নির্বাচনে তিনি অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছিলেন ১ কোটি ২০ লাখ ৮৩ হাজার ৬৫২ টাকার। এবার দেখিয়েছেন ১ কোটি ৫৮ লাখ ৬০ হাজার ১৯ টাকার। গেলবার কোনো বার্ষিক আয় না দেখালেও এবার তিনি এ আয়ের পরিমাণ ২৫ লাখ ২৯ হাজার ৯০৪ টাকা উল্লেখ করেছেন।  সিলেট-৬ আসনের এমপি নুরুল ইসলাম নাহিদ এবার অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ দেখিয়েছেন ১ কোটি ৫৮ লাখ ১৬ হাজার ৯ টাকার। ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিসংখ্যান অনুসারে, তখন নাহিদের অস্থাবর সম্পদ ছিল ৯৮ লাখ ৩০ হাজার ৫৫০ টাকার। এ হিসাবে গেল পাঁচ বছরে তার অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ৫৯ লাখ ৮৫ হাজার ৪৫৯ টাকা। শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা নুরুল ইসলাম নাহিদের স্থাবর সম্পদের পরিমাণও বেড়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর