শনিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ডিজিটাল প্রচারণায় বাম দলগুলো

রুহুল আমিন রাসেল

ডিজিটাল প্রচারণায় বাম দলগুলো

এবারের সংসদ নির্বাচনে ডিজিটাল প্রচারণা চালাচ্ছেন বামপন্থিরা। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাস্তে, মই ও কোদাল মার্কায় ভোট চাইছেন বামপন্থি প্রার্থীরা। তাদের দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা নিজ দলীয় মার্কার পক্ষে ভিডিও বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন ভোটারদের মাঝে। তৈরি করা হয়েছে অ্যাপ। জানা গেছে, নির্বাচনে ডিজিটাল প্রচারণার অংশ হিসেবে ৮ দলীয় বাম গণতান্ত্রিক জোটভুক্ত দলগুলো পৃথক পৃথক আইসিটি সেল গঠন করেছে। এর বাইরে আছে প্রচারণার জন্য পৃথক শাখা। গতকাল সন্ধ্যায় নতুন একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি। ‘শিক্ষা কাঠামোর আমূল বদলের জন্য কাস্তে মার্কায় ভোট দিন’ এমন আহ্বান জানিয়ে ভিডিও বার্তায় গণমাধ্যমে ছাড়া হয়েছে। এ বার্তায় বলা হয়েছে, কেমন চলছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, শিক্ষার গোড়ায় গলদ, প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকানো যাচ্ছে না, ছাত্রলীগের হামলায় আহত শিক্ষার্থীরা, শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাটিচার্জের চিত্র প্রভৃতি। এরপরই ভিডিও বার্তায় ভোটারদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, প্রয়োজন শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল সংস্কার। এক্ষেত্রে সিপিবির অঙ্গীকার হলো, শিক্ষা ব্যবস্থার প্রকৃত অর্থে জাতীয়করণ। সর্বজনীন, বৈষম্যহীন একই ধারার শিক্ষা ব্যবস্থা চালু। শিক্ষা বাণিজ্য বন্ধ, বাজেটের ৮ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দের অঙ্গীকার। সবশেষে দেশ, দেশের মানুষ বাঁচাতে কাস্তে মার্কায় ভোট চাওয়া হয়েছে। প্রতিদিনই এমন নতুন নতুন ভিডিও বার্তা ছাড়া  হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বামপন্থি দলগুলো বলছে, আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিলেও কোনো পিছুটানের সুযোগ নেই তাদের। তাই এক ভাগ লুটেরাদের বিরুদ্ধে ৯৯ ভাগ জনগণের ভাগ্যের মৌলিক পরিবর্তনের বার্তা জনগণের কাছে এই নির্বাচনে ডিজিটাল প্রচার ও প্রচারণার মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে চান বামপন্থিরা। এ প্রসঙ্গে সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বড় রাজনৈতিক দলগুলো যেখানে নির্বাচন ঘিরে সাম্প্রদায়িক প্রচারণায় নেমেছে, সেখানে কমিউনিস্ট পার্টিসহ অন্যান্য বামপন্থি দলগুলোর প্রার্থীরা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ নির্মাণের অংশ হিসেবে আগামী ১১ ডিসেম্বর বিকালে শহীদ মিনারের বেদিতে ফুল দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবে। তিনি বলেন, এবার কমিউনিস্ট পার্টির সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা নিজেদের উদ্যোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণায় নেমেছেন। বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রার্থীরা দলের আদর্শগত বক্তব্য তুলে ধরছেন। একই সঙ্গে দুর্নীতির ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণজাগরণ তৈরি করছি। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সামাজিক  যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণার মধ্য দিয়ে বিদ্যমান অবস্থার মৌলিক পরিবর্তন আনতে মানুষের কাছে আমাদের পার্টির বক্তব্য তুলে ধরছি। চলমান অপশাসন নিয়েও কথা বলছি।

সর্বশেষ খবর