রংপুরে মহাজোটের পাঁচ হেভিওয়েট প্রার্থীর পক্ষে এখন বিগত বছরের উন্নয়নের প্রচারণা চলছে। মহাজোট শাসনামলে এসব প্রার্থীর নির্বাচনী এলাকায় কী কী উন্নয়ন হয়েছে তা ভোটারের নিকট উপস্থাপন করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আবারও মহাজোট সরকার গঠন করতে পারলে কী ধরনের উন্নয়ন হতে পারে তাও উল্লেখ করছে দলের নেতা-কর্মীরা। মহাজোটের এসব হেভিওয়েট হলেন— রংপুর-৩ আসনের প্রার্থী ও জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, রংপুর-৬ আসনের প্রার্থী স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, রংপুর-৫ আসনের প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ এইচএন আশিকুর রহমান, রংপুর-১ আসনের প্রার্থী ও জাপা মহাসচিব মসিউর রহমার রাঙ্গা ও রংপুর-৪ আসনের প্রার্থী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক টিপু মুনশি। একাদশ নির্বাচনে মহাজোট ও ২০ দলীয় জোটের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীদের মধ্যে সাধারণ ভোটারের আলোচনায় উল্লেখযোগ্যরা হলেন— রংপুর-৩ (সদর ও আংশিক সিটি) আসনে মহাজোট প্রার্থী ও জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার বিপরীতে লড়ছেন বিএনপির রিটা রহমান। রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে মহাজোট প্রার্থী আওয়ামী লীগের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তার বিপরীতে লড়ছেন বিএনপির সাইফুল ইসলাম। রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনে মহাজোট প্রার্থী আওয়ামী লীগের এইচএন আশিকুর রহমান, তার বিপরীতে লড়ছেন বিএনপির অধ্যাপক গোলাম রব্বানী। রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া ও আংশিক সিটি) মহাজোটের প্রার্থী ও জাপা মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা, তার বিপরীতে লড়ছেন ঐক্যফ্রন্টের শাহ্ মো. রহমতুল্লাহ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আসাদুজ্জামান বাবলু। রংপুর-৪ (পীরগাছা ও কাউনিয়া) মহাজোট প্রার্থী আওয়ামী লীগের টিপু মুনশি, তার বিপরীতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তফা সেলিম বেঙ্গল ও বিএনপির এমদাদুল হক ভরসা। ওইসব এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, যারা অবহেলিত অসহায়দের পাশে থেকে কাজ করবে তাদেরকেই ভোট দেব। নিত্যপণ্যের মূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখবে এবং বেকারত্বদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে, সেই প্রার্থীই হবে নতুন ভোটারের ভোটে বিজয়ী জনপ্রতিনিধি।
