শুক্রবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
নির্বাচনী হাওয়া সারা দেশে

অস্তিত্বের লড়াইয়ে হেভিওয়েটরা

খুলনা

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

অস্তিত্বের লড়াইয়ে হেভিওয়েটরা

একাদশ সংসদ নির্বাচনে খুলনায় এবার অস্তিত্বের লড়াইয়ে নেমেছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থীরা। খুলনা-৩ ও ৫ আসনে হ্যাটট্রিক জয়ের অপেক্ষায় রয়েছেন মহাজোট প্রার্থী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান ও নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। একই সঙ্গে খুলনা-২ আসনে দলের নতুন প্রার্থী হিসেবে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল। এই আসনে তার শক্ত প্রতিপক্ষ মহানগর বিএনপির সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এ ছাড়া খুলনা-৩ ও ৪ আসনে বিএনপির তরুণ নেতা রকিবুল ইসলাম বকুল ও আজিজুল বারী হেলাল নির্বাচনে চমক দেখানোর অপেক্ষায় রয়েছেন। প্রাপ্ত      তথ্যানুযায়ী, জাতীয় রাজনীতির আবহে ভোটের মাঠে পরিবর্তিত হয় খুলনার জনসমর্থন। ২০০১ সালের নির্বাচনে সরকার গঠন করে বিএনপি-জামায়াত জোট। ওই নির্বাচনে খুলনার ছয়টি আসনের পাঁচটি পায় বিএনপি-জামায়াত। বাকি একটি পায় আওয়ামী লীগ। একইভাবে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। নির্বাচনে খুলনার পাঁচটি আসন আওয়ামী লীগ আর বিএনপি পায় একটি। অবশ্য ২০১৪ সালে নির্বাচনে না এসে বড় খেসারত দেয় বিএনপি। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ খুলনার সব কয়টি আসনে বিজয়ী হয়। প্রায় ১০ বছর পর সংসদ নির্বাচনে অস্তিত্বের লড়াইয়ে নেমেছে দুই দল। বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা সমীকরণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এবারের নির্বাচন। বিশেষ করে খুলনা-২ আসনে হেভিওয়েট দুই প্রার্থীর জয়-পরাজয় স্থানীয় রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), খুলনার জেলা সম্পাদক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই খুদা বলেন, এই আসনে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর পরাজয় হলে তা হবে নক্ষত্রের পতন ও বিএনপির দুর্গে বড় ধরনের বিপর্যয়। একইভাবে সালাহউদ্দিন জুয়েল জিতলে তা শুধু চমকই নয়, খুলনার রাজনীতিতে ঘটবে নেতৃত্বের নব উত্থান। জানা গেছে, খুলনা-৫ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পরপর সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এখানে ধানের শীষ প্রতীকে তার প্রতিপক্ষ জামায়াতের নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার। ২০০১ সালে গোলাম পরওয়ার এখানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ফলে এখানে জমজমাট লড়াই দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন ভোটাররা। খুলনা-৩ আসনে মহাজোটের প্রার্থী মন্নুজান সুফিয়ানের প্রতিপক্ষ সাবেক ছাত্রদল নেতা রকিবুল ইসলাম বকুল আর খুলনা-৪ আসনে বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলালের প্রতিপক্ষ মহাজোটের আবদুস সালাম মুর্শেদী। এরই মধ্যে হেভিওয়েট প্রার্থীরা সমান তালে প্রচারণায় মাঠে রয়েছেন। আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন বলেন, জয়ের ধারাবাহিকতা রক্ষায় মহাজোট সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত খুলনা সন্ত্রাসের নগরীতে পরিণত হয়েছিল। শিল্প কলকারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বিপরীতে গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগ যে উন্নয়ন করেছে তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ভোটাররা নৌকায় ভোট দেবেন। অপরদিকে মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, এবারের নির্বাচনে তরুণদের প্রাধান্য দিয়েছে। যারা আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছে, দল তাদের মূল্যায়ন করেছে। জনগণের দাবি আদায়ের সংগ্রাম ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে বিএনপি সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর