শিরোনাম
বুধবার, ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
থমকে গেছে তৃণমূল বিএনপি

চট্টগ্রামে হতাশা আতঙ্ক

ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ থানার বাসিন্দা জমির উদ্দিন (ছদ্মনাম)। এলাকায় একটি ঝুপড়িতে চা দোকান দিয়েই চলে তার সংসার। বিএনপির ঘোর সমর্থক হলেও সরাসরি কোনো পদধারী রাজনৈতিক নেতা নন। তারপরও গত তিন মাসে তার বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে আটটি মামলা হয়েছে। এই তিন মাস তিনি নিয়মিত দোকানদারিও করতে পারেননি। পারেননি নিজের বাসায় থাকতে। ফলে তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। নগর যুবদলের এক নেতা আত্মগোপনে থেকে জানান, নির্বাচনের প্রায় ২০ দিন আগে তার বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা হয়েছে। তার আক্ষেপ, ছেলেমেয়েরা বড় হচ্ছে, এই অবস্থায় ‘ডাকাতি’ মামলা দিয়ে হেনস্তা করার মতো কোনো অপরাধ করিনি। অন্য কোনো মামলা দিলে আপত্তি ছিল না। এই অবস্থা শুধু একজন জমিরের নয়, বিএনপির অসংখ্য সাধারণ কর্মী-সমর্থক এমন হয়রানির শিকার বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারমধ্যে ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে ফল বিপর্যয়ের কারণে চট্টগ্রাম বিএনপির সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা আরও বেশি আতঙ্ক ও হতাশার মধ্যদিয়ে দিন পার করছেন। যাদের বিরুদ্ধে নগরী ও জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে, তারা যেমন আতঙ্কিত, তেমনি নতুন করে ধরপাকড়ের শিকার হচ্ছেন কিনা তা নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর অনেকেই নির্বাচনের আগ থেকেই বাসাবাড়ি ফেলে অন্য স্থানে রাতযাপন করছেন। নির্বাচন শেষ হওয়ার পরও তাদের ক্রমাগত ঠিকানা বদল করে থাকতে হচ্ছে বলে জানা গেছে। বিশেষ করে নগর যুবদল-ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি অল্প বয়সী কর্মী-সমর্থকরা পুলিশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানতে চাইলে নগর ছাত্রদল সভাপতি গাজী সিরাজ উল্লাহ বলেন, আমার বিরুদ্ধে ৪৭টি মামলা রয়েছে। তারপরও আমরা টিকে আছি। কিন্তু একজন সাধারণ কর্মী কিংবা বিএনপির সমর্থক যদি একটি মামলারও শিকার হন অথবা পুলিশ হয়রানি করে, তারা অনেক বেশি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তারা হতাশায় নিমজ্জিত হন।

বর্তমানে সে অবস্থাই চলছে। আর পরিবারের একজনও যদি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হন, তাতে পুরো পরিবারেই বিপর্যয় নামে।

সর্বশেষ খবর