শিরোনাম
বুধবার, ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
থমকে গেছে তৃণমূল বিএনপি

রাজশাহীতে হারজিতের পোস্টমর্টেম

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

একাদশ সংসদ নির্বাচনে রাজশাহীর ছয়টি আসনে আবারও বিপুল জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট। রাজশাহীর সব কটি আসনেই বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে বিএনপি। নির্বাচনের পর এখন জয়-পরাজয়ের হিসাব কষছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এখানে আওয়ামী লীগের জয় আর বিএনপির এমন ভরাডুবির কারণ খুঁজছেন তারা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এবার প্রার্থীদের বিরোধিতা করে মাঠে নামেননি কোনো আওয়ামী লীগ নেতা, গত ১০ বছরে রাজশাহীতে সরকারের দৃশ্যমান উন্নয়ন কর্মকা- ও জনসম্পৃক্ততা, তরুণ ও নারী ভোটারদের একটা বড় অংশ নৌকার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ফলে রাজশাহীর সব কটি আসনে বিপুল জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থীরা। এ ছাড়া জামায়াত-সঙ্গ ও জঙ্গি-সংশ্লিষ্টতার কারণে বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে রাজশাহীর মানুষ। ২০০৮ সালের আগে আধিপত্য বিস্তারকারী বিএনপি শুধু জামায়াত ও জঙ্গি-সংশ্লিষ্টতার কারণে গত তিন মেয়াদ ধরে পরাজয়ের গ্লানি ভোগ করছে। ২০১৮ সালে এসেও তারা যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-সঙ্গ ত্যাগ করতে পারেনি। জঙ্গি মদদদাতাদের এবারও মনোনয়ন দেওয়া হয়। তরুণ প্রজন্মকে কোনো আশা দিতেও পারেনি। এ কারণে তরুণ প্রজন্ম বিএনপির ওপর ভরসা রাখতে পারেনি। নারীরাও মুখ ফিরিয়েছে বিএনপি থেকে। তবে বিএনপি নেতারা বলছেন, শুধু দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের কারণে তাদের এমন পরাজয়। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘নির্বাচনে কারা ভোট দিয়েছে সবাই জানে। রাতে প্রশাসনের সহায়তায় নৌকায় ভোট দেওয়া হয়েছে। আর দিনে ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয়নি। এমন ভোট হলে, প্রশাসন যাকে চাইবে, সে-ই জিতবে।’ নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন বলেন, ‘সরকার এত উন্নয়ন করলে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট দিতে ভয় পায় কেন? তাদের কোনো উন্নয়ন নয়, জোর করে আমাদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনো কেন্দ্রে ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি। তরুণ ভোটাররা তাদের প্রথম ভোটটাও দিতে পারল না।’ তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি এ অঞ্চলে শুরু থেকেই বিভক্ত ছিল। প্রার্থীরা সবাই ছিল জনবিচ্ছিন্ন। ১২ বছরের বেশি সময় ধরে এলাকায় না ফিরে হঠাৎ ভোটের মাঠে নেমে বেকায়দায় পড়েন তারা। অনেকের বিরুদ্ধে জঙ্গি মদদ দেওয়ার মামলাও আছে।

 রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আজম শান্তনু বলেন, বিএনপির ক্ষেত্রে জনবিচ্ছিন্নতা যেমন পরাজয়ের মূল কারণ, তেমনিভাবে বিপুল জয়ে আওয়ামী লীগের নেপথ্যে আছে তাদের একতাবদ্ধতা।

সর্বশেষ খবর