বৃহস্পতিবার, ৩ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

৯৬’র পর থেকেই রংপুরে আসন হারাচ্ছে জাপা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

জাতীয় পার্টির (জাপা) দুর্গ হিসেবে পরিচিত রংপুর। বিগত সময়ে জাতীয় নির্বাচনে এর প্রমাণ মিললেও ১৯৯৬ সালের পর থেকে এ অঞ্চলে আসন হারাচ্ছে দলটি। জাতীয় পার্টির চিহ্নিত ঘাঁটিগুলোয় মজবুত অবস্থান তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ। তবে বিএনপিও ভোটের হিসাবে এগিয়েছে খানিকটা। বিগত সময়ের নির্বাচনী ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ১৯৯১ ও ’৯৬ সালের নির্বাচনে রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনের বেশির ভাগই পেয়েছিল জাতীয় পার্টি। সর্বশেষ ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচনে জাপার আসন উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়। জানা যায়, ১৯৯১ সালের নির্বাচনে রংপুর বিভাগের ৩৩ আসনের মধ্যে জাপা ১৭, আওয়ামী লীগ ৯, বিএনপি ১, সিপিবি ৩, জামায়াত ১, বাকশাল ১ ও ন্যাপ ১টি আসন পেয়েছিল। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে কিছুটা ভালো করেছিল জাপা। সে বছর জাতীয় পার্টি ২১, আওয়ামী লীগ ৮, বিএনপি ৩ ও জামায়াত ১টি আসন পায়। কিন্তু ’৯৬-এর নির্বাচনের পর থেকে এ অঞ্চলে জাপার ছন্দপতন ঘটে। যার প্রভাব পড়ে ২০০১ সালের নির্বাচনে। ওই নির্বাচনে ১৪ আসন পায় জাতীয় পার্টি। আর আওয়ামী লীগ ৬, বিএনপি ৯ ও জামায়াত পায় ৪টি আসন। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি পায় ১৩টি। আর আওয়ামী লীগ পায় ২০টি আসন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে  জাতীয় পার্টির আসন আরও কমে যায়। মাত্র ৭টি আসন পায় জাপা। আর আওয়ামী লীগ ২৩, জাসদ ১, ওয়ার্কার্স পার্টি ১ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী পান ১টি আসন। সবশেষ, রবিবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ৭টি আসন পেয়েছে জাতীয় পার্টি। এর মধ্যে রংপুরে ২, নীলফামারীতে ২, কুড়িগ্রামে ১, গাইবান্ধায় ১ ও লালমনিরহাটে ১টি আসন। আর আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২৪টি ও বিএনপি ১টি আসন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, সাংগঠনিক দুর্বলতা, এরশাদনির্ভরতা, নেতৃত্বের অভাব ও উত্তরাঞ্চলের উন্নয়নে জাপার বলিষ্ঠ ভূমিকা না থাকায় ক্রমেই জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে একসময়ের ক্ষমতাসীন এ দলটি। দলটি ক্রমেই জনপ্রিয়তা হারিয়ে রংপুর বিভাগের পরিবর্তে রংপুর জেলাকেন্দ্রিক হয়েছে। তবে আসন কমার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম ইয়াসীর।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর