অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের ক্ষেত্রে অগ্রগতি অব্যাহত থাকলেও ২০১৮ সালের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি চরম উদ্বেগজনক ছিল বলে দাবি করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। মানবাধিকার সংস্থাটির মতে, মানবাধিকারের অন্যতম সূচক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের ক্ষেত্রে আশানুরূপ অগ্রগতি হয়নি। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি করেন আসকের উপ-পরিচালক নীনা গোস্বামী ও জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবির। এ সময় আসকের প্রধান নির্বাহী শিফা হাফিজ উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত বছরজুড়ে বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-, বিশেষ করে ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ, গুলিবিনিময় ও গুম-গুপ্তহত্যার ঘটনা অব্যাহত ছিল। ২০১৮ সালের আরেকটি উদ্বেগজনক বিষয় ছিল বেআইনি আটক, গণগ্রেফতারসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যুর মতো ঘটনা।
সংস্থাটির দাবি, ২০১৮ সালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ, ক্রসফায়ার, গুলিবিনিময়, নিরাপত্তা হেফাজতে মোট ৪৬৬ জন নিহত হন। আর একাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৭০টি সহিংসতার ঘটনায় ৩৪ জন নিহত হন। সারা দেশে ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৭৩২ জন। ধর্ষণপরবর্তী হত্যার শিকার ৬৩ জন, ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ৭ জন।
আসকের প্রধান নির্বাহী শিফা হাফিজ বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- এ বছর অনেক বেশি হয়েছে। নারী ও শিশু ধর্ষণ-সংক্রান্ত নির্যাতনও অনেক বেড়েছে। এ সময় তিনি বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের বিষয়ে কমিশন গঠন করে তদন্তের দাবি জানান।
