শুক্রবার, ১১ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
চাল ব্যবসায়ীদের প্রতি খাদ্যমন্ত্রী

আমাদের ইজ্জত রাখবেন

নিজস্ব প্রতিবেদক

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, চাল ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগ উত্তরবঙ্গের। আমরা দুই মন্ত্রীও (বাণিজ্যমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রী) উত্তরবঙ্গের। তাই আপনাদের কাছে আমাদের দাবি, আপনারা আমাদের ইজ্জত রাখবেন। চালের দাম হঠাৎ করে বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল খাদ্য ভবনে চালকল মালিক এবং চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন সরকারের দুই মন্ত্রী- খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ওই বৈঠকে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে ১৩ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য মজুদ রয়েছে। কোনো ঘাটতি নেই। এরপরও কেন চালের দাম বাড়ছে আমরা তা জানি না। তিনি বলেন, নর্থ বেঙ্গলের ব্যবসায়ীদের কাছে আমাদের দাবি আপনারা আমাদের ইজ্জত রাখবেন। খাদ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন। এ সময় বিভিন্ন জেলার চাল ব্যবসায়ীরা চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সব ধরনের সহযোগিতা করতে আশ্বাস দেন।

খাদ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা মূল্য বৃদ্ধির নিউজ লেখার আগে আমাদেরকে জানাবেন। আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করব।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। পর্যাপ্ত মজুদও আছে। খাদ্যে কোনো সমস্যা নেই। যদি কোনো অসৎ উদ্দেশ্য না থাকে তাহলে চালের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।

সভায় চালকল মালিকদের কেন্দ্রীয় সংগঠন বাংলাদেশ অটোমিলার অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক লায়েক আলী খান বলেন, মিলগুলোতে চালের দাম বাড়েনি। নির্বাচনের সময় কিছু কিছু জায়গায় চিকন চালের দাম বেড়েছিল। তাও সর্বোচ্চ ৫০ পয়সা। তবে কোনো মিলে মোটা চালের দাম বাড়েনি। বর্তমানে মিলে ৩০ টাকা ৬০ পয়সা দামে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকার বাবুবাজার-বাদামতলী আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী নিজাম উদ্দিন বলেন, নির্বাচনের সময় বিভিন্ন কারণে মোটা ও চিকন চালের দাম দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে। এখানে দেশে বড় বড় মিল ও আড়তদাররা আছেন। তারা যদি সিদ্ধান্ত নেন তাহলে চালের দাম আর বাড়াব না। আর তারা যদি বলেন এক থেকে দুই টাকা চালের দাম কমবে তাহলে কাল থেকেই কমে যাবে। কারণ সারা দেশে তারাই চাল জোগান দেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর