সোমবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

রাকসু নির্বাচনের পালেও হাওয়া

মর্তুজা নুর, রাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হওয়ার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনও বেশ আলোচনায় এসেছে। রাকসু নির্বাচন বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে শিগগিরই সংলাপে বসা হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান। রবিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্টার্স ইউনিটির নবগঠিত কমিটির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।  বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার তিন বছর পর ১৯৫৬-৫৭ মেয়াদে প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (রাসু) নাম পরিবর্তন করে ১৯৬২ সালে রাকসু নামে যাত্রা শুরু করে। সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৯-৯০ মেয়াদে। ১৪ বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া রাকসুর ১৯৭০ থেকে ১৯৭২, ১৯৭৫ থেকে ১৯৮০ এবং ১৯৮১ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন্ কারণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ১৯৮৯ সালের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে দেশে নানা অস্থিরতার অজুহাত তুলে বন্ধ করে দেওয়া হয় রাকসু নির্বাচন। সম্প্রতি ডাকসু নির্বাচনের বিষয়টি সামনে আসায় রাকসু নিয়েও বিশ্ববিদ্যালয়টি নড়েচড়ে বসেছে। তারাও ডাকসুর মতো শিগগিরই রাকসু নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, অবশ্যই আমরা সংলাপে আগ্রহী। রাকসু নির্বাচন আমাদের প্রাণের দাবি। রাকসু নির্বাচনের দাবি আমরাও জানিয়েছি। আমাদের ২৪ দফা দাবির প্রথম দফাই ছিল রাকসু নির্বাচন। এর মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব আসুক এবং দেশের কল্যাণে কাজ করবে, দেশ ও জাতি গঠনে ভূমিকা রাখবে আশা করি। সেটার জন্য আমরা আগ্রহী। রাকসু নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান বলেন, সংলাপের বিষয়টি খুবই ভালো কথা। আমাদের দাবি একটাই থাকবে, সব সংগঠনের নেতা যাতে হলে জায়গা পায় এবং নির্বাচনের প্রচারণা স্বাভাবিকভাবে করতে পারে; তখনই সম্ভব সুষ্ঠু রাকসু নির্বাচন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি গণতন্ত্র চর্চার জন্য উন্মুক্ত করতে পারে, তবে রাষ্ট্রীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। তবে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের আহ্বায়ক মহব্বত হোসেন মিলন বলেন,  আমরা চাই সংলাপের জন্য নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হোক।

সর্বশেষ খবর