চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ রক্ষায় স্থাপন করা হয় ৫০০ পিএবিএক্স লাইন। কিন্তু এর মধ্যে ৩৫০টিই বিকল! হাসপাতালের ওয়ার্ডের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের অন্যতম এ মাধ্যমটি পূর্ণাঙ্গ না থাকায় চিকিৎসাসেবায় বিঘ্ন ঘটে। প্রয়োজনীয় দ্রুত সেবা থেকে বঞ্চিত হয় রোগী। হাসপাতালসূত্রে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে জাপানের ইলেকট্রনিক কোম্পানি ওকেআই ব্র্যান্ডের ১০ এক্স-১২০০ মডেলের একটি ডিজিটাল পিএবিএক্স (টেলিফোন) সংযোগ স্থাপন করে। এতে ৪০টি টিঅ্যান্ডটি ও ৪০০ পিএবিএক্স লাইন ছিল। ১০ বছর মেয়াদি এই ইলেকট্রনিক্স উপকরণের মেয়াদ ১৮ বছর। পরে পিএবিএক্স সংযোগটির হার্ডডিস্কটি নষ্ট হওয়ায় ২০১৫ সালে ৪৭ লাখ ৬০ হাজার টাকায় কোরিয়া থেকে আরেকটি নতুন মেশিন স্থাপনের পর আরও ১০০ লাইন যোগ করা হয়। ৫০০ লাইন সংযোগের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন আধুনিক মেশিনটি দিয়ে বর্তমানে মাত্র ১৫০ লাইন চালু আছে। লাইনম্যান না থাকায় এ মেশিন থেকে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পিএবিএক্স লাইন সংযোগ দেওয়া যায়নি। চমেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আখতারুল ইসলাম বলেন, ‘পিএবিএক্স লাইন সংযোগে অর্থ ও জনবল দুটিরই সংকট আছে। তবে এ ব্যাপারে আমরা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছি। দাফতরিক প্রক্রিয়া শেষ করে লাইনগুলো সচল করা যাবে।’

 চমেক হাসপাতালের টেলিফোন ও তথ্য কেন্দ্রের ইনচার্জ আবদুল হক মিয়া বলেন, ‘হাসপাতালের তথ্য বিভাগে মোট পাঁচটি পদ আছে। এর মধ্যে একজন অন্য বিভাগে, একজন অন্ধ মহিলা (প্রতিবন্ধী কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত) কর্মরত আছেন। বাকি দুটি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। তবে গত বছরের অক্টোবরে পদ দুটি পূরণ ও লাইনম্যানের জন্য দুটি পদ সৃজন করে দুজন নিয়োগ দেওয়ার জন্য পরিচালক বরাবর আবেদন করেছি। আশা করছি শিগগিরই দুটি পদ পূরণ হবে এবং লাইনম্যান নিয়োগের ব্যাপারেও একটি সিদ্ধান্ত আসবে।’ হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা বলেন, চিকিৎসাসংক্রান্ত সকল কাজ খুব দ্রুত সম্পন্ন করতে টিঅ্যান্ডটির বিকল্প নেই। জরুরি ভিত্তিতে রোগীকে এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে স্থানান্তর করতে পরস্পরের মধ্যে আলোচনা করা, অন্য ওয়ার্ড থেকে চিকিৎসা উপকরণ আনা, জরুরি প্রয়োজনে অন্য ওয়ার্ড থেকে নার্স-আয়া আনাসহ নানা কাজ হাসপাতালের আন্ত-নেটওয়ার্কের মাধ্যমে করতে হয়। কিন্তু এখন এসব কাজ করতে হচ্ছে মোবাইলে কিংবা সরাসরি গিয়ে। এতে চিকিৎসা যেমন বিলম্ব হয়, তেমন ভোগান্তিও থাকে।