সোমবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

পুলিশের ভুলে সাজা খাটলেন ফরিদ

আদালত প্রতিবেদক

আসামি না হয়েও পুলিশের ভুলে সাজা খাটলেন চট্টগ্রামের বাঁশখালীর ফরিদ হোসাইন নামের এক ব্যক্তি। তবে এ ভুলের জন্য আদালতে হাজির হয়ে ক্ষমা চেয়েছেন বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন ও এএসআই আবদুল মুনাফ। গতকাল ঢাকার পরিবেশ আদালতের বিচারক মো. শওকত হোসাইনের কাছে তারা লিখিতভাবে অনিচ্ছাকৃত ভুলের ব্যাখ্যা দেন। এ বিষয়ে আদালতের পেশকার মো. শামসুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, শুনানি শেষে বিচারক কারাবন্দী ফরিদ হোসাইনকে জামিনে মুক্তির আদেশ দিয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে, মামলার মূল আসামি এখনো গ্রেফতার হয়নি। মূল আসামি গ্রেফতার হওয়ার পর তার সাজার মেয়াদ গণনা করতে হবে। মূল আসামির নামে নতুন করে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করা হোক। এদিকে পুলিশের লিখিত ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘ঢাকার বিভিন্ন আদালত থেকে ইস্যুকৃত ১০টি গ্রেফতারি ওয়ারেন্ট তামিলের জন্য থানায় প্রেরণ করা হয়।’

পরে আসামি ফরিদ হোসাইনকে গ্রেফতার করা হয়। তখন আসামি কোনো প্রকার প্রতি-উত্তর/জবাব প্রদান করে নাই। এ কারণে সরল বিশ্বাসে আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে জানা যায় ধৃত আসামি ফরিদ হোসাইন গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি নয়। অনিচ্ছাকৃত এ ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থী।’ পরে বিচারক পুলিশের ওই লিখিত আবেদন নথিতে রেখে গ্রেফতার দেখানো আসামি ফরিদ হোসাইনকে অন্য কোনো মামলা না থাকলে তাকে জামিনে মুক্তির আদেশ দেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, শুধু গ্রাম ও নামের মিল দেখে গত বছরের ৩ নভেম্বর চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার নাটমুড়া গ্রামের মৃত হাজী আবদুস শুকুরের ছেলে মো. ফরিদ হোসাইনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরের দিন ফরিদকে আদালতে হাজির করা হলে ১০ মামলার পলাতক আসামি হিসেবে তাকে কারগারে পাঠানো হয়। এর মধ্যে একটি মামলায় এক বছরের কারাদ- ও এক কোটি ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করে আদালত।

সর্বশেষ খবর