বৃহস্পতিবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের হাতে গ্রেফতার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে বরিশাল, গোপালগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ব্যাংক কর্মকর্তা ও সার্ভেয়ারসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল তিন  জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য  বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন। ঘুষের টাকাসহ  গ্রেফতার হয়েছেন কিশোরগঞ্জ ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার গিয়াস উদ্দিন, জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ বিতরণে  গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার সোনালী     ব্যাংকের ভাটিয়াপাড়া শাখার কর্মকর্তা মো. আকতার হোসেন ও সরকারি চাল আত্মসাৎ করার দায়ে বরিশাল সদর উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদেও চেয়ারম্যান  মো. আমানুল্লাহ। দুদক জানায়, গতকাল বেলা ১১টায় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর অফিস থেকে অফিসের সার্ভেয়ার মো. গিয়াস উদ্দিনকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণকালে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে দুদকের একটি বিশেষ টিম। কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা এম এ হাকিম শাহর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের ময়মনসিংহের বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. কামরুল হাসানের তত্ত্বাবধানে ওই কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় দুদকের ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্রধর বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গতকাল সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার সোনালী ব্যাংকের ভাটিয়াপাড়া শাখার কর্মকর্তা  মো. আকতার হোসেনকে বিভিন্ন ভুয়া ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ২ কোটি ৫৫ লাখ ৭ হাজার টাকা ঋণ দেখিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে  গ্রেফতার করেছে দুদকের অপর একটি বিশেষ টিম। ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর ৬ জনকে আসামি করে এ বিষয়ে কাশিয়ানি (গোপালগঞ্জ) থানায় দুদক একটি মামলা করেছিল। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক রাজ কুমার সাহা।

সরকারি চাল আত্মসাৎ করায় বরিশাল সদর উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমানুল্লাহকে বরিশাল শহরের চৌমাথা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে দুদকের অপর একটি টিম। তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলায় ভিজিডি কার্ডধারী স্থানীয় ২৫১ জনকে ২০ কেজি করে কম চাল দিয়ে প্রায় ৫ মেট্রিক টন চাল আত্মসাৎ করার অভিযোগ ছিল। যার মূল্য ১ কোটি ৮২ লাখ ৪২৬ হাজার টাকা। গত বছরের ২৭ নভেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবুল হাসেম কাজী বাদী হয়ে ২ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর