সোমবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

এক মাস কোচিং সেন্টার বন্ধ

রিটের রায় ৭ ফেব্রুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও বরিশাল

আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে কোচিং সেন্টার বন্ধে বরিশালে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বিকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোজাম্মেল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে নগরীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ব্যাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের দক্ষিণ পাশ ও বগুড়া রোডের পেশকার বাড়ি এলাকায় কয়েকটি কোচিং সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। অভিযান চলাকালে সামনের দরজা আটকে ভেতরে কোচিং কার্যক্রম, আবার কোথাও মেডিকেলে ভর্তি কোচিংয়ের নামে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কোচিং করানোর সময় হাতেনাতে ধরে ফেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রথমদিনের অভিযানে সবগুলো কোচিং সেন্টার কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে দিয়ে আগামী এক মাস কোচিং কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় অভিভাবকদেরও আগামী ১ মাস তাদের সন্তানদের কোচিং সেন্টারে না পাঠানোর অনুরোধ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। এদিকে অনেকেরই ধারণা, এসএসসি পরীক্ষার কারণে শুধুমাত্র এসএসসি পর্যায়ের কোচিং বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে বিভ্রান্তি দূর করে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, সরকারি ঘোষণায় নির্দিষ্ট কোনো কোচিং সেন্টার নয়, সবগুলোই এক মাস বন্ধের নির্দেশনা রয়েছে। তিনি জানান, আগামী এক মাস সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে এবং এই নির্দেশনা অমান্য করলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোচিংবাণিজ্য বন্ধে রিটের রায় ৭ ফেব্রুয়ারি : কোচিংবাণিজ্য বন্ধের নীতিমালার বিষয়ে জারি করা রুলের ওপরে ৭ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করা হবে। গতকাল বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ এবং বিচারপতি রাজিক আল          জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণার এ দিন ধার্য করে। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম। এ ছাড়াও আদালতে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে বক্তব্য উপস্থাপন করেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের বলেন, ক্লাসে পাঠদানের ব্যর্থতাসহ অনেক কারণেই কোচিংবাণিজ্য হচ্ছে। যিনি একজন শিক্ষক, যিনি ক্লাস নিচ্ছেন, তিনি ক্লাসে ভালোভাবে তার মাইন্ডকে অ্যাপ্লাই করছেন না। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে, ক্লাস আওয়ারেই কোচিং হচ্ছে। খুব প্রাসঙ্গিকভাবে আদালতে এ প্রশ্নটা আসছে যে, ক্লাসের ব্যর্থতার কারণেই কোচিংবাণিজ্য বেড়েছে। এর আগে কোচিংবাণিজ্যের অভিযোগে মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সে জন্য সরকার গত বছর কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়। দুদকের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ওই নোটিস দেওয়া হয়। ওনসব নোটিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদেও কোচিংবাণিজ্য বন্ধের নীতিমালা-২০১২ নিয়ে শিক্ষকরা হাই কোর্টে রিট করেন। রিটের শুনানি শেষে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশসহ রুল জারি করে। ওই আদেশের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল করে। ওই আবেদনের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ হাই কোর্টের এশটি বেঞ্চকে এ রুলের নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেয়। পরে আদালত রুল নিষ্পত্তির জন্য আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও ফিদা এম কামালকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দেয়।

 

সর্বশেষ খবর