মঙ্গলবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

শপথ না নেওয়ার বিষয়ে দলের সবাই ঐক্যবদ্ধ

-------------------------- বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির বিজয়ীদের শপথ না নেওয়ার বিষয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ আছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে ভোট ডাকাতির বিষয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করবেন প্রত্যেক প্রার্থী। তবে দলীয়ভাবে এটা করা হবে না। প্রত্যেকে তার ইচ্ছামতো সময়ে পৃথকভাবে এ মামলা করবেন। গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী আহমেদ বলেন, অন্ধকার শ্বাসরোধী পরিবেশে মানুষকে নির্বাক করে দেশ এখন একদলীয় দুঃশাসন প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত পর্বে উপনীত হয়েছে। এখানে এখন ‘টুঁ’ শব্দ করা যাবে না। ভিন্নমত প্রকাশিত হলে সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশি আক্রমণের মুখে পড়তে হবে।

এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, বিএনপি নেতা আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী আহমেদ বলেন, ঐক্যফ্রন্টের কোনো প্রার্থী ব্যক্তিগতভাবে শপথ প্রহণ করবেন কিনা- এমন তথ্য আমার কাছে নেই। তবে এখনো বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্ট ঐক্যবদ্ধ আছে। যে কোনো বিষয়ে বসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন তারা। তিনি বলেন, জনগণ ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি।

কারণ ২৯ ডিসেম্বর রাতে ভোটারবিহীন ব্যালট বাক্স পূর্ণ হয়েছে। সুতরাং নির্বাচনোত্তর সরকার নিজেকে যে নামেই অভিহিত করুক, সেটি অবৈধ সরকার। এই সরকার রাতের আঁধারের ভোটের সরকার। রাষ্ট্র এমন এক ভয়াবহ একদলীয় রূপ ধারণ করেছে যেখানে অন্যায়ের প্রতিকার চাওয়ার কোনো জায়গা নেই। এত বড় মহাভোট ডাকাতি ও মহাভোট জালিয়াতির নির্বাচন গোটা জাতির সামনে সংঘটিত হলো, অথচ নির্বাচন কমিশন জানাল যে, নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হয়নি।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনারদের মনে এ ব্যাপারে কোনো অনুশোচনা নেই। তাহলে অধিকারহারা ভোটাররা প্রতিকার কার কাছে চাইবে। সরকার ও তাদের একনিষ্ঠ অনুগ্রহভাজন নির্বাচন কমিশন ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে যে ভূমিকা রেখেছে তাতে গোটা জাতি হতাশায় নিমজ্জিত হয়েছে। আসলে ৩০ ডিসেম্বরের মহাভোট ডাকাতির নির্বাচনের ছদ্মনাম নূরুল হুদা কমিশন।

সর্বশেষ খবর