শনিবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না

---------- কায়সার হামিদের স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত ২৭ জানুয়ারি কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে সাবেক ফুটবলার কায়সার হামিদকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন তার স্ত্রী শাহনাজ সুলতানা কায়সার লোপা। নিউওয়ের বিরুদ্ধে করা মামলার অন্যান্য আসামিদের সহযোগিতায় তার স্বামী কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন- প্রকাশ হওয়া সংবাদকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেছেন। তিনি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের গ্রেফতার করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণারয়ের প্রতি অনুরোধ জানান। শাহনাজ সুলতানা কায়সার বলেন, ১৯৯৯ সালে নিউওয়ে ব্যবসা শুরু করে। পরবর্তীতে তাদের সহযোগী সংস্থা নিউওয়ে কো-অপারেটিভ সেক্রেটারি এবং কনসালটেন্ট হিসেবে তার স্বামী যোগ দেন। সেখানে বিভিন্ন সেমিনারে অংশ নিতেন। কিন্তু কোম্পানির আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে সম্পর্ক নেই। আর্থিক লেনদেন করতেন কোম্পানির চেয়ারম্যান সঞ্জীব কুমার দাস, মহাপরিচালক নবরতœ, তার ছেলে মুরালী কুমার, নির্বাহী পরিচালক মেজর (অব.) তরিকুল ইসলাম, পরিচালক নাজমা আক্তার। সরকার ২০১২ সালে ডেসটিনিসহ অন্যান্য এমএলএম কোম্পানির ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ায় নিউওয়েও বন্ধ হয়ে যায়। পরে হাজার হাজার গ্রাহক এ কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে। খেলোয়াড় হিসেবে তার স্বামীর পরিচিতি থাকায় তাকে চিহ্নিত করা কোনো কঠিন বিষয় ছিল না। ২০১৩ ও ১৪ সালে হওয়া মামলাগুলো সম্পর্কে তার স্বামী অবগত ছিলেন না। আর কোম্পানির কোনো কাগজপত্রে তার কোনো স্বাক্ষরও ছিল না। গত বছর সংসদ নির্বাচনের আগে পুলিশের একজন এসআই জানান যে, দুটো মামলায় তার জামিন নেই। অথচ বিভিন্ন জেলায় তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোর বিষয়ে তার স্বামী একেবারেই অবগত ছিল না। পরে অত্যন্ত অনাকাক্সিক্ষত এক ঘটনার জন্ম নেয়। তিনি জানান, তার শ্বশুরের চাকরিসূত্রে পাওয়া বনানীর ডিওএইচএসে একটি বাড়ি আছে। এ ছাড়া আর কোনো স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি নেই। দেশের ভিতরে কিংবা বাইরে আমাদের পরিবারের কারওরই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোনো রকম আর্থিক লেনদেন নেই। প্রকাশিত সংবাদে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া এবং বিচার বিভাগকে ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার খবর ভিত্তিহীন। জাতীয় পর্যায়ে এক পরিবারের বিরুদ্ধে এমন ভিত্তিহীন খবর দুঃখজনক। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি এবং তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো সঠিক সমাধানের আশা করি।

সর্বশেষ খবর