রবিবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

শাবিতে রাতভর ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে অস্ত্রের মহড়া

সিট দখল নিয়ে ছাত্রকে মারধর

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

জুনিয়রকে থাপ্পড় দেওয়ার অভিযোগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে। শুক্রবার রাতভর উভয়গ্রুপের নেতা-কর্মীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।

এ ব্যাপারে শাবি ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, জুনিয়রদের মারধর করায় এ ঘটনা ঘটেছে। প্রক্টরের মধ্যস্থতায় এখন পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও যে কোনো সময় ঘটনা অন্যদিকে মোড় নিতে পারে। শাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান বলেন, রাতের ঘটনা আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গেও কথা হয়েছে। বিবদমান সব পক্ষের সঙ্গে বসে আমরা দ্রুত সমাধান করব।

সিট দখল নিয়ে ছাত্রকে মারধর : হলে সিট দখলকে কেন্দ্র করে এমদাদুল হক নামের এক ছাত্রকে মারধর করেছে ছাত্রলীগের একাংশের কর্মীরা। গত শুক্রবার রাত সোয়া ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এমদাদুল হক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। মারধরকারী সবাই আহত শিক্ষার্থীর তিন থেকে চার ব্যাচ জুনিয়র। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এমদাদুল হক হলের ৪০১ নম্বর কক্ষে আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে দীর্ঘদিন অবস্থান করছিলেন। স্নাতকোত্তর পরীক্ষা শেষে তিনি কক্ষটি ছেড়ে দেবেন। এরই মধ্যে কক্ষটি বরাদ্দ পেয়েছেন বিপি.এড কোর্সের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম। কিন্তু শুক্রবার হলটি অবৈধভাবে দখল করতে যায় ছাত্রলীগের কর্মীরা। বিষয়টি হলের ছাত্রলীগের এক সিনিয়র নেতাকে অবহিত করলেও ছাত্রলীগ কর্মীরা এমদাদুল হককে তার কক্ষে বেধড়ক মারধর করে।

এ খবর শুনে তার সহপাঠী ফাহিম হাসান বিষয়টি প্রক্টরকে অবহিত করলে তাকেও হলের সামনে ১৫-২০ শিক্ষার্থী মারধর করেন। তিনি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের  থেকে সম্প্র্রতি স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন এবং বিপিএড  কোর্সে অধ্যয়নরত।

এ ব্যাপারে এমদাদুল হকের সহপাঠী ফাহিম হাসান বলেন, ‘পরিবহন দফতরের ঝুপড়ি অবস্থানকালে এমদাদকে মারধরের খবর শুনতে পাই। পরে প্রক্টর স্যারকে জানাই। এ সময় পাশে থাকা ছাত্রলীগের কর্মীরা এটি জানতে পেরে আমাকে টেনে-হেঁচড়ে হলের সামনে নিয়ে যায়। পরে ছাত্রলীগের ১৫-২০ জন কর্মী আমাকে হলের ফটকে মারধর করে।’

এদিকে ‘ঘটনার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি জামান নূর। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত খুব শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনা। বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র বলেন, মারধরের বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা  নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর