দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে সৈয়দ মাহমুদ হোসেন শপথ নিয়েছিলেন গত বছর ৩ ফেব্রুয়ারি। সে হিসেবে আজ তার দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই প্রধান বিচারপতি মনোযোগী হয়েছেন বিচার বিভাগের সবচেয়ে বড় সমস্যা মামলাজট নিরসনে। বিচার প্রার্থীদের দুর্ভোগ কমাতেও বছরব্যাপী ছিল তার নানা উদ্যোগ। সিনিয়র আইনজীবীরা মনে করেন, এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে বিচার বিভাগের সমস্যাগুলো দূর হতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
সুপ্রিম কোর্টের তথ্য অনুযায়ী, সৈয়দ মাহমুদ হোসেন প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর উচ্চ আদালতে মামলা নিষ্পত্তির হার বেড়েছে। আর্থিক বিষয়ের মামলা ও ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদ- নিশ্চিতকরণ) নিষ্পত্তিতে বেঞ্চ বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রতি বৃহস্পতিবার পুরাতন ক্রিমিনাল মিস পিটিশন শুনানির জন্য হাই কোর্টের ১৪ বেঞ্চকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গত এক বছরে। আপিল বিভাগে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির জন্য পুনরায় দ্বিতীয় বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট সূত্র আরও জানায়, সুপ্রিম কোর্টে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিরোধে নিয়মিত বিভিন্ন শাখায় আকস্মিক পরিদর্শনে যান প্রধান বিচারপতি। কোথাও কোনো অনিয়ম পেলে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানায়, বিচারিক আদালতে মামলা নিষ্পত্তিতে গতি আনতেও প্রধান বিচারপতি নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। তার নির্দেশেই বিচারিক কর্মঘণ্টা পূর্ণ ব্যবহারে বিচারকদের প্রতি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। নিম্ন আদালতের বিচারিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে মনিটরিং কার্যক্রমও বৃদ্ধি করা হয়েছে।এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও স্পেশাল অফিসার ব্যারিস্টার মো. সাইফুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিচার বিভাগে গতিশীলতা আনতে বর্তমান প্রধান বিচারপতি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তিনি বিচার প্রার্থীদের সমস্যাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।